কাঠ বাদাম এর উপকারিতা - কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আপনি কাঠ বাদাম এর উপকারিতা জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি
করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ কাঠ বাদাম এর
উপকারিতা জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি কাঠ বাদাম এর উপকারিতা ও কাঠ বাদাম
খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের সদুত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু কাঠ বাদাম এর উপকারিতা এবং কাঠ বাদাম খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই। এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা
হয়েছে, যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে
পড়ুন ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে কাঠ বাদাম এর উপকারিতা ,কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম,প্রতিদিন কয়টা
কাঠবাদাম খাওয়া উচিত, কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক, কাঠ বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার
উপকারিতা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত
ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ
পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
কাঠবাদাম একটি অনেক উপকারী উপাদান। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা
আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্তি দিতে পারে। কাঠবাদামের মধ্যে
বিভিন্ন রকমের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। যে
সকল ভিটামিন রয়েছে যেমনঃ ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, সেলিনিয়াম, ক্যালসিয়াম,
কপার এবং রিবোফ্লাভিন এ সকল ভিটামিন এই বাদামের মধ্যে অনেক পরিমাণে রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ শীতকালীন সবজির উপকারিতা
এছাড়াও আরো বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণ এই বাদামের মধ্যে রয়েছে,যেমনঃ জিংক, আইরন,
ভিটামিন বি পটাশিয়াম, থায়ামিন, ফোলেটের এবং নিয়াসিন ইত্যাদি। এই কাঠবাদামে
প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অনেক পরিমাণে রয়েছে । তাই আমি আপনাদের
কাঠ বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। আপনারা এই আর্টিকেলটি পরলে কাঠবাদাম
সম্পর্কে আরো অনেক বিষয় জানতে পারবেন।
কাঠ বাদামের উপকারিতা জেনে নিন
- নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে শরীরের বাড়তি ওজন কমে যায়।
- কাঠবাদামের তেল তৈরি করে চোখের নিচে ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
- কাঠ বাদামের তেল মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনাদের ত্বক অনেক সফট ও কোমল হবে এবংবয়স হলেও চামড়া জড়ো হবে না।
- আপনারা কাঠবাদাম দিয়ে যেকোনো প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনাদের ত্বক অনেক উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে।
- নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- ডায়েট করার জন্য আপনারা রোজ কমপক্ষে 100 গ্রাম কাঠবাদাম খেতে পারেন এতে আপনাদের খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমতে সাহায্য করবে।
- কাঠ বাদাম পেশার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে যে কোন মহামারি যেমন করোনা, ডেঙ্গু ইত্যাদি সকল মহামারি সহজে আক্রান্ত হবে না।
- যাদের শরীরে পুষ্টির অভাব রয়েছে তারা প্রতিদিন কাঠবাদাম খান এতে আপনাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
- কাঠবাদাম যে কোন রান্নার টেস্ট বাড়িয়ে দেয়। যেমন কোরমা, রোস্ট, বিরিয়ানি ইত্যাদি।
- বাচ্চাদের কাঠবাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি এবং ব্রেন বৃদ্ধি হয়।
- প্রতিদিন নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে শরীরে বয়সের ছাপ পড়বে না এবং বয়স হলেও শরীর স্ট্রং থাকবে।
কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
কাঠবাদাম অনেকে অনেক রকম করে খেয়ে থাকে। যেমন কাঠবাদামের ওপর একটি শক্ত খোসা
থাকে খোসাটা উঠিয়ে খাওয়া বেশি ভালো। না হলে হজম হতে অনেক সময় লাগে। প্রায় ৯০%
মানুষ এই কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে খায়। এটি আপনারা ১২ ঘণ্টা
ভিজিয়ে রাখবেন এতে খোসাটা নরম হয়ে যাবে, উঠিয়ে ফেলতে সুবিধা হবে। খোসা উঠিয়ে
খেলে আপনাদের হজমে কোন সমস্যা হবে না, ও পুষ্টির জন্য অনেক ভাল।
অনেকে কাঠ বাদাম ওজন কমানোর জন্য খেয়ে থাকে তারা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে কিছু
কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখবেন।এরপর সকালে উঠে খোসা ছাড়িয়ে খালি পেটে অথবা ভরা পেটে
খেতে পারেন।যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তারা ভরা পেটে খাবেন কারণ কাঠবাদামে
অনেক ভিটামিন থাকার কারণে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। বাচ্চাদের যেভাবে কাঠবাদাম
খাওয়াবেন।
আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
অনেক সময় বাচ্চারা শুধু কাঠবাদাম খেতে চায় না। তাদের আপনারা যেকোনো ফলের সঙ্গে
কাঠবাদাম দিয়ে জুস বানিয়ে দিতে পারেন। এতে তারা রুচি মতো খাবে ও পুষ্টি ও
ঠিকঠাক থাকবে কাঠ বাদাম খেলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি ও ব্রেন বৃদ্ধি হয়। তাই ছোট
থেকে বড় সকলের প্রতিদিন অল্প কিছু করে হলেও এই কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত। নিয়মিত
কাঁদ বাট আম খেলে শরীরে বয়সের ছাপ পড়বে না ও স্কিন ভালো থাকবে।
কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক
আমি আপনাদের কাঠবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছি এবার আমি আপনাদের কাঠবাদামের
ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানাবো। কাঠ বাদামে যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমন এর ক্ষতিকর
দিক রয়েছে। কাঠবাদামে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অতিরিক্ত কাঠবাদাম
খাওয়ার ফলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে। কাঠবাদামে যে সুগার রয়েছে, তা
অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর সুগার বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে
ডায়াবেটিসর রোগী ক্ষতি হতে পারে।
কাঠবাদাম হজম হতে দেরি হয় আর যদি অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেয়ে ফেলে তাহলে বিভিন্ন
রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, বদহজম, বমি বমি ভাব,গ্যাসের সমস্যা, পেট
ফাঁপা,পেটে ব্যথা ইত্যাদি। কাঠবাদাম অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে প্রেসার হাই হয়ে যেতে
পারে, প্রেসার হাই হয়ে গেলে স্টক করার সম্ভবনা থাকে। তাই আপনারা যে কোন খাবার
খাবেন কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় না। অতিরিক্ত মাত্রায় যে কোন খাবার খেলে শরীরের
জন্য তা অনেক ক্ষতিকর হবে। কারণ যে কোন খাবারে ভালো খারাপ দুইটায় রয়েছে।
কাঠ বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিত
আমরা সারাদিনে রোজ যে সকল খাবার খায় তা আমাদের শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের চাহিদা
পূরণ করতে পারে না। কারণ আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য কিছু ড্রাই ফ্রটসও খাওয়া
উচিত। যেমন, কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, এই সকল ড্রাই ফ্রটসও এর মধ্যে
প্রচুর পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ কিসমিস এর উপকারিতা
যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম, ফাইবার, কপার, জিংক, কার্বোহাইড্রেট
ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি ৬।
কাঠবাদাম ও কিসমিস এই দুইটির মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। এতে
অতিরিক্ত পুষ্টি আছে বলেই যে আপনারা অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন এমনটা নয়। এগুলা
পরিমাণ মতো খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।
- প্রতিদিন কাঠবাদাম ও কিসমিস খেলে আপনাদের দাঁতের গোড়া মজবুত হবে। কাঠ বাদাম ও কিসমিসের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের জন্য ভীষণ উপকারী।
- কাঠ বাদাম এবং কিসমিস প্রতিদিন পরিমাণ মতো খেলে হাড় অনেক মজবুত হয়।
- নিয়মিত কাঠ বাদাম এবং কিসমিস খেতে পারলে আপনার চুলের গোড়া অনেক মজবুত হবে এবং চুল ওঠা বন্ধ হবে।
- নিয়মিত কাঠবাদাম এবং কিসমিস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
আমরা জানি কাঠ বাদামে প্রচুর উপকারিতা। আপনারা সারাদিনই কাঠবাদাম খেতে পারেন কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে নয়। সারাদিনে ৮ থেকে ১০ টা অথবা দিনে ১০০ গ্রাম কাঠ বাদাম খেতে পারেন। একটা কথা মনে রাখবেন একসঙ্গে অনেকগুলো বাদাম খেলে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।শেষ কথা
এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।কাঠ বাদাম এর উপকারিতা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন
আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।