শীতকালে ত্বকের যত্ন - শুষ্ক ত্বকের যত্ন

প্রিয় পাঠক, আপনি শীতকালে ত্বকের যত্ন জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ শীতকালে ত্বকের যত্ন জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি শীতকালে ত্বকের যত্ন ও শুষ্ক ত্বকের যত্ন বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের সদুত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু শীতকালে ত্বকের যত্ন এবং শুষ্ক ত্বকের যত্ন সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন।

এই আর্টিকেলে শীতকালে ত্বকের যত্ন , শুষ্ক ত্বকের যত্ন,শীতে ঠোঁটের যত্ন, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন

,শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

শীতকালে আমাদের ত্বক অনেক শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে যায়। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডার ফলে আমাদের ত্বকের মশ্চারাইজার কমে যায়। এর ফলে আমাদের ত্বক এত রুক্ষ হয়ে যায়, যে হাত ,পা এবং ত্বক ফেটে যায় ত্বক,ফাঁটা কমানোর জন্য আমাদের শরীরের এক্সট্রা কেয়ার করতে হয়। শীতকালে গোসলের শেষে আমাদের হাত-পায়ে ও ত্বকে টানটান ভাব হয়।

এই সময় আমাদের যে কোন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত ।যার স্ক্রিনে যেটা শুট করে সেটা ব্যবহার করবেন, কারন অনেকের এলার্জির কারণে যেকোনো মশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায় না ,এতে এলার্জি সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা আপনাদের পছন্দমত নিয়মিত শীতকালে যে কোন মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে হাতমুখ ধুয়ে মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।

এরপর দুপুরে গোসলের পর মশাররাইজার ব্যবহার করবেন ,রাতে ঘুমাতে যাবার আগে মশ্চারাইজার ব্যবহার করে ঘুমাতে যাবেন। এর ফলে আপনাদের ত্বকে মশ্চারাইজারের অভাব হবে না, আপনারা মশ্চারাইজার হিসেবে যেকোনো বেবি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া আবশ্যক না হলে আপনার ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে।শীতকালে ত্বকের যত্ন ঠিকঠাক না হলে আস্তে আস্তে আপনার ত্বক কুঁচকে যাবে বা জড়ো হয়ে যাবে। তাই শীতকালে অবশ্যই আপনারা মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।

ত্বক শীতকালে অনেক শুষ্ক হয়ে যায়, এর ফলে ত্বকে খসখসে হয়ে যায়। ত্বকের মধ্যে সাদা সাদা খসখসে ভাব দেখা যায়। শুষ্ক ত্বকের যত্ন করা প্রতিটি মানুষেরই দরকার আর শীতকালে ত্বক শুষ্ক বেশি হয়।অনেকের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত আবার অনেকের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক দুইটার কোনটাই ভালো নয়। তৈলাক্ত ত্বকের একরকম সমস্যা এবং শুষ্ক ত্বকের আরেকরকম সমস্যা। আমাদের ত্বক যেমনই হোক না কেন আমাদের যত্ন নিতে হবে।

যেকোনো জিনিস যত্ন ছাড়া যেমন ভালো থাকে না, তেমনি ত্বক যত্ন না করলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা শুষ্ক ত্বকের যেভাবে যত্ন নিতে পারি। যদি ত্বক অনেক রুক্ষ হয় গোসলের আগে এবং গোসলের পরে আপনারা অলিভ অয়েল অথবা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। সরিষার তেল ব্যবহার করলে ত্বক মশ্চারাইজার হবে এবং শীতে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। আপনারা সাবান ব্যবহার করলে মশ্চারাইজার যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন।

অথবা সাবান ব্যবহার করবেন না। তার বদলে আপনারা শাওয়ার জেল অথবা মশ্চারাইজার যুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। মশ্চারাইজার যুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহারের ফলে আপনাদের ত্বক শুষ্ক হবে না, আপনাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে। এবং ত্বক হাইড্রেটেড হবে। হাত পায়ের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য আপনারা যে কোন লোশন অথবা ক্রিম মাসাজ করতে পারেন, এতে আপনাদের ত্বকের শুষ্ক ভাব কেটে যাবে।

যখন শীতকাল শুরু হয় তখন চারিদিকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে। এর ফলে আমাদের ঠোঁট অনেক শুষ্ক হয়ে যায়, এবং ঠোঁট ফাটা শুরু হয়। অনেক সময় ঠোঁট ফেটে রক্ত বেরিয়ে যায়,এবং অনেক ব্যথা হয়। ঠোঁটের যত্নে আপনারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। যেমন লিপজেল, লিপ বাম, গ্লিসারিন,পেট্রোলিয়াম জেলি, পমেট ইত্যাদি ।আরো বিভিন্ন রকমের ঠোঁটে ব্যবহারের জন্য প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। এ প্রোডাক্ট গুলো আপনারা রেগুলার ব্যবহার করলে আপনাদের ঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁট রুক্ষ হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।

অনেকেই মনে করে গ্লিসারিন শুধু হাত পায়ে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এটা ঠিক কথা নয় গ্লিসারিন আপনি আপনার ঠোঁটেও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ শীতে গ্লিসারিন ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি হাত পা এবং ঠোঁট ফাটার জন্য এবং ঠোঁট রুক্ষতার জন্য গ্লিসারিন অনেক ভালো কাজ করে। আপনারা প্রতিদিন নিয়মিত তিনবার করে আপনাদের পছন্দমত এর মধ্যে যেকোনো একটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন। এতে আপনাদের ঠোঁটের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে, কারণ শীতে ঠোঁট ফাটে না এমন মানুষ কম দেখা যায়।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমরা অনেক উপায়ে রূপচর্চা করতে পারি। প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা করলে আমাদের ত্বকের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।ঘরোয়া উপায়ে আমরা বিভিন্ন প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আজ আমি আপনাদের ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিতে পারেন, এ সে বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করব। আমি আপনাদের সাথে ত্বকের যত্নে একটি প্যাক তৈরি করার নিয়ম জানাবো। আপনারা এই প্যাক ব্যবহার করে আপনাদের ত্বককে অনেক সুন্দর করতে পারবেন।

প্যাক তৈরিঃ দুই চামচ পুদিনা পাতার রস, এক চামচ কফি পাউডার,চার চামচ দুধ, এক চামচ এলোভেরা জেল একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন এরপর পেজটি কিছুক্ষণের জন্য নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন কিছুক্ষণ পর ফ্রিজ থেকে বের করে নরমাল টেম্পারেচারে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন যখন নরমাল হয়ে যাবে তখন প্যাকটি আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন হাত-পা মুখ সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন এটি আপনারা সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করবেন তাহলে একটি ভালো ফলাফল পাবেন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য শীতকালে আপনারা নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করবেন। যেমন ত্বক সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। ত্বক যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে তাহলে ত্বকে অনেক ধুলাবালি জমে ত্বক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য আপনারা নিয়মিত যে কাজগুলো করতে পারেন।

• প্রতিদিন যে কোন ফেসওয়াশ বা সাবান দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করবেন।
• গোসলের পর ত্বকে যেকোনো মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
• শীতের সময় ও সানস্ক্রিম ব্যবহার করবেন শীত বলে ব্যবহার করা বন্ধ করবেন না তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাবে।
• ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে কোন প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
• যে কোন প্যাক ব্যবহারের পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলবে।
• শীতের সময় সকালের হালকা রোদে কিছুক্ষণ ত্বকে রোদ লাগাবেন।
• ত্বকে ধুলাবালি লাগলে ত্বক সাথে সাথে পরিষ্কার করে ফেলবেন।
• গোসলের সময় পানিতে এক কাপ দুধ দিয়ে নিবেন এতে ত্বকে মশ্চারাইজার বাড়বে।

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।শীতকালে ত্বকের যত্ন এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।