শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় - শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনি শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় ও শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের সদুত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন।

এই আর্টিকেলে শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়,শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়,তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে শসার উপকারিতা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পেঁপের ব্যবহার, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কলা, মধু ও টমেটোর ব্যবহার,ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুধ ও টক দই এর ব্যবহার ,ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গাজরের ব্যবহার বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

শীতকালে আমাদের ত্বক অনেক শুষ্ক থাকে, তাই আমাদের সবসময় উচিত ত্বককে মশ্চারাইজার রাখা।শীতকালে আমাদের সবার উচিত ত্বকের বেশি বেশি যত্ন নেওয়া কারণ শীতের সময় আমাদের ত্বকের ক্ষতি বেশি হয়। কারণ শীতের সময় ত্বকের যত্ন অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। কারণ শীতের সময় আমাদের ত্বক অনেক সেনসিটিভ হয়ে যায় এবং স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। প্রচন্ড শীতের জন্য ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা এবং ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। আর এই অবস্থায় আমাদের প্রয়োজন ত্বকের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া। আর আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে যেভাবে ত্বকের যত্ন করতে পারি সে বিষয়ে আপনাদের জানাবো। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় আপনারা খুব সহজে অবলম্বন করতে পারই। যেমনঃ

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় জেনে নিন 

• শীতের সময় আমাদের ত্বকে যেন বেশি ময়শ্চারাইজার থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ত্বকে ময়শ্চারাইজার থাকলে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় থাকে। ত্বক মশ্চারাইজার রাখার জন্য ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন, অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, গোলাপজল এবং শসা ত্বকের মশ্চারাইজার হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে।
• শীতের সময় আমরা কমবেশি সবাই খুব কম পরিমাণে পানি খায় এর ফলে আমাদের তখন অনেক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। তাই আমাদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যেন, আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করি না ফলে আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর হয়ে পড়ে। আপনাদের শরীরে পানির পরিমাণ বাড়াতে হালকা কুসুম গরম করে বারবার খেতে হবে।
• শীতের সময় আপনারা যখন ত্বক পরিষ্কার করবেন সাবান অথবা ফেসওয়াশ দিয়ে তখন অবশ্যই হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করবেন এতে আপনার ত্বক মশ্চারাইজার থাকবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
• যেকোনো ভালো ব্র্যান্ডের মশ্চারাইজার সব সময় ব্যবহার করবেন। রাতে কোন সময় মশ্চারাইজার ব্যবহার না করে ঘুমাবেন না ।কারণ রাতে মশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক অনেক নরম এবং কোমল থাকে।
• আপনারা প্রতিদিন গোসলের পরে হাত পা এবং ত্বকে গ্লিসারিন অথবা যেকোনো মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন এতে আপনার ত্বক ভালো থাকবে।
• আপনি শীতের সময় ত্বক ভালো রাখার জন্য অথবা মশ্চারাইজার রাখার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে বাড়িতে যেকোনো ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক ব্যবহারে আপনার ত্বক কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এতে আপনার ত্বক আরও ভালো থাকবে।

শীতের সময় আমরা সারা বছর কমবেশি ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু শীতের সময় অনেক গুরুত্ব সহকারে ত্বকের যত্ন নিতে হবে ,একটু বেশি এক্সট্রা কেয়ার করতে হবে। প্রচন্ড শীত পড়ার সাথে সাথে চারিদিকে বাতাস বইতে থাকে আর এই বাতাস বইতে থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতা কমে যায় এর ফলে আশীতকালে আমাদের ত্বক অনেক নাগো হয়ে থাকে। আর প্রচন্ড বাতাস এবং শীতের কারণে আমাদের ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ এবং প্রাণহীন হয়ে পড়ে। এর ফলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। তাই আজ আমি আপনাদের শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানাবো।

যাদের ত্বক শীতকালে বেশি তৈলাক্ত হয়, তারা প্রতিদিন শসার রস ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। একটি পরিষ্কার পাত্রে এক চামচ মুলতানি মাটি এবং চার চামচ শসার রস ও এক চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার সমস্ত ত্বকে এপ্লাই করুন, এভাবে 15 থেকে 20 মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এবার হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন এটা আপনারা হাত পায়েও ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনাদের হাত-পা সহ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

একটি পাকা পেঁপে সংগ্রহ করুন। একটি পরিষ্কার পাত্রে তিন চামচ পাকা পেঁপের রস, হাফ চামচ লেবুর রস, ও হাফ চামচ মধু দিয়ে সকল উপকরণ এক সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে সমস্ত ত্বকে এপ্লাই করুন, এবং ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ত্বক পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে।

ত্বকের জন্য কলা মধু ও টমেটোর উপকারিতা অনেক। একটি পরিষ্কার পাত্রে তিন টুকরো পাকা কলা, অর্ধেক টমেটো এবং এক চামচ মধু ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে নিতে হবে। এরপর প্যাকটি সমস্ত ত্বকে ভালোভাবে এপ্লাই করুন। ত্বক ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

বিভিন্ন রকমের ত্বকের জন্য দুধ ও টক দই ভীষণভাবে উপকারী। একটি পাত্রে চার চামচ গরুর দুধ, 1 চামচ গোলাপ জল ,এক চামচ টক দই এবং ২ চামচ বেসন ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে এপ্লাই করুন। এরপর ৩০ মিনিট আপনার ত্বক শুকিয়ে নিন ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এটা নিয়মিত ব্যবহারে আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে সাহায্য করবে।

আমরা সচরাচর সবাই জানি গাজর আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি আমাদের শুধু শরীরের জন্য উপকারী নয় এটি রূপচর্চার কাজেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটা আপনারা খুব সহজেই ত্বকের ব্যবহার করতে পারবেন। একটি ছোট গাজরের রস করে তার সঙ্গে দুই চামচ মুলতানি মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এবং ১০ মিনিট পর ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন দেখবেন আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।