তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় - ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
প্রিয় পাঠক আপনি তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় জানার জন্য অনেক জায়গায়
খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ তৈলাক্ত
ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ
দূর করার উপায় ও ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান
তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত
প্রশ্নের সদুত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় এবং ব্রণ
দূর করার ঔষধের নাম সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট
নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।
পোস্ট সূচীপত্রঃ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় - ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
- ভূমিকা
- তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
- ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
- কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়
- ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
- দুধ খেলে কি ব্রণ হয়
- শেষ কথা
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়,ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম,কোন
ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়,ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়,দুধ
খেলে কি ব্রণ হয় বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট
বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে
যাবেন।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
আমাদের অনেকের ত্বক অনেক তৈলাক্ত, তৈলাক্ত ত্বক হবার কারণে আমাদের স্কিনে বিভিন্ন
রকম সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে স্কিনে মেকআপ করলে তা খুব
তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এবং মেকআপ করলে মেকআপ বসতে চায়না। তৈলাক্ত ত্বকে
বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ মুখে ব্রন কমানোর উপায় - ব্রণ দূর করার উপায়
যেমন, মেছতা, কালো, দাগ,
ব্রনের সমস্যা
ইত্যাদি আরও বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। আপনারা অনেকেই তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর
করার উপায় জানেন না। তাই আমি আপনাদের আজকে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
সম্পর্কে জানাবো। আপনি এই আর্টিকেলটি পড়লে এই বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারবেন, তাই
দয়া করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
- ত্বকে যদি অতিরিক্ত তেল বের হয় ,তাহলে অ্যালোভেরা জেল বরফ দানিতে বসিয়ে প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করুন। এতে আপনার মুখে তেল ভাব কমে যাবে, এবং ব্রণ দূর হতে সাহায্য করবে।
- ত্বকে প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার করে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন এতে আপনার ত্বকের ব্রণ কমে যাবে।
- তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ ভালো করার জন্য যে কোন ভালো ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করুন বাজারে গেলে দেখতে পাবেন তেল রিমুভ করা ফেসওয়াশ বা সাবান দেখা যায়। সেগুলো ব্যবহার করলেও ব্রণ কমে।
- আপনারা বাড়িতে বিভিন্ন রকমের প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনাদের ব্রণ কমে যাবে।
- তৈলাক্ত ত্বকের একমাত্র কারণ হলো আমাদের নাক, নাক থেকে যে ঘামের মত তেল বের হয়। সেটা আমাদের ত্বকে মিশে যায়। এর ফলে আমাদের ত্বক ও তৈলাক্ত হয়ে যায়, তাই আপনারা যখন দেখবেন আপনার নাক অনেক তৈলাক্ত হয়ে গেছে তখন টিস্যু অথবা যে কোন নরম কাপড় দিয়ে নাকের তেল মুছে নিবেন এতে ব্রণ কম হবে।
- আপনারা কমপক্ষে সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ত্বকে সাবান অথবা ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলবেন এতে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
- আর সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং শাকসবজি খাবেন।
ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
বাজারে আপনারা বিভিন্ন রকমের ব্রণ দূর করার ঔষধ পাবেন। আজ আমি আপনাদের সাথে ব্রণ
দূর করার কিছু ঔষধের নাম জানাবো। আমি আপনাদের তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
সম্পর্কে জানালাম,এবার আমি আপনাদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম জানাবো।বাজারে
বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকমের ব্রণ দূর করার ঔষধ রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ভালো
খারাপ সব রকমের ঔষধ আছে, তাই আপনারা ত্বকে যে কোন ওষুধ ব্যবহারের আগে ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন, এতে আপনাদের ত্বকের কোন ক্ষতি হওয়া সম্ভব না
থাকবে না।
- এডাবেন ডুও জেল - Adaben Duo Gel
- ফোনা প্লাস - Fona Plus
- ফোনা ক্রিম - Fona cream
- পিম্পলেক্স ক্রিম - Pimplex cream
- এডাজেল প্লাস - Adagel plus
- এডজার জেল - Adgar gel
- একনিজেল - Acnegal
- ফ্রেশলুক জেল ক্রিম - Freshlook
- নোমার্ক জেল - Nomark gel
এ সকল ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন। কারন
এসব ক্রিমে অনেক সময় ত্বকে 500 প্রতিক্রিয়া হতে পারে।তখন ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা
দেখা দিতে পারে, তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তার যদি বলে আপনি ক্রিমটি
ব্যবহার করেন।তাহলেই ব্যবহার করবেন,তাহলে আপনার স্কিনে কোন সমস্যা হবে না। কারণ
এখন অনেক ভ্যাজাল ক্রিম বের হয়েছে এই ভেজাল ক্রিম ত্বকে দিলে আপনার ত্বক সারা
জীবনের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই যে কোন জিনিস ত্বকে ব্যবহারের আগে
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়
ব্রণ শুধু ভিটামিনের অভাবে হয় না। ব্রণ হরমোন জনিত সমস্যার কারণে এবং বংশীয়
কিছু কারণে ত্বকে ব্রণ কালো দাগ এবং আরো বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। পুষ্টিকর এবং
ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিলে
ও ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে। ত্বকে ব্রণ ভালো হওয়ার জন্য অনেকে বিভিন্ন রকম
ভিটামিন সেবন করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন
সেবন করবেন এতে আপনি কোন ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। কাকুর কাছে আছে
যে সকল ভিটামিন ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে
ভিটামিনেএঃ ব্রনের জন্য ভিটামিনএ সাপ্লিমেন্ট অনেক উপকারী। চিকিৎসকদের
গবেষণায় ভিটামিন এ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। ভিটামিন এ ব্যবহারের ফলে ব্রণ
ভালো হয় এবং লোমকূপ থেকে ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ত্বকের রেটিনএড
কোলাজেল বাড়িয়ে দাগ কমাতে অনেক সাহায্য করে।
ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি ত্বকের ভেতর থেকে দাগ সারকেল কমিয়ে শরীর
স্বাস্থ্য এবং ত্বক ভালো রাখতে অনেক সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকের প্রদাহরোধী
হয়ে ত্বকের ফুলা ভাব এবং লালচে ভাব দূর করতে বা কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন বি ৩ঃ অনেক গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন বি থ্রি ত্বকের জন্য অনেক
উপকারী। এটা ত্বকের প্রদাহরোধী হবার জন্য ব্রণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়ে
থাকে।
জিংকঃ যাদের ত্বকে জিংক এর স্বল্পতা রয়েছে, তাদের ব্রণের সমস্যা বেশি
দেখা দেয়। তাই ব্রণ কমাতে আপনারা জিংকের ব্যবহার করতে পারেন।
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ,ভিটামিন বি থ্রি, জিংক এর সকল ভিটামিন যে কোন ত্বকের জন্য
ভালো। ত্বক উজ্জ্বল করতে ও এ সকল ভিটামিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
ত্বকের মধ্যে থাকা সেবা সিয়াম গ্রন্থি যে অতিরিক্ত সিরাম উৎপাদন হয়। সেই
উৎপাদনের জন্যই ত্বক তৈলাক্ত অনেক বেশি হয়। এই সিরাম ত্বকের জন্য অনেক ভালো এবং
এই সিরামি ত্বককে মশ্চারাইজার রাখে। কিন্তু এই সিরাম যদি অতিরিক্ত বের হয় হলে
লোম কুপের ছিদ্রে প্রবেশ করে, ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় হরমোনের
পরিবর্তনের কারণে ব্রণ হতে পারে। আবার ছেলেদের মানসিক চাপ একটু বেশি থাকে।এর ফলে
ত্বকে অতিরিক্ত সিরাম বের হয় এর ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। এবং ব্রণ বের হয়।
আমি ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার কিছু উপায় জানাবো।
- আপনারা প্রতিদিন দিনে দুইবার করে সাবান অথবা ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করবেন এবং ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন।
- মধু ত্বকের জীবাণু মুক্ত করে এবং ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে অনেক সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আপনি সরাসরি ত্বকে মধুর ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনি যেভাবে ব্যবহার করবেন, সমস্ত ত্বকে মধু লাগিয়ে 10 মিনিট শুকিয়ে নিন শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তারা একটি ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন।কারণ লেবুর রসের এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা রয়েছে তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে
- কাজুবাদাম বাটা ত্বকের জন্য অনেক ভালো এটি ত্বকের মৃতকোষ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
দুধ খেলে কি ব্রণ হয়
আমরা জানি দুধ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। দুধ খেলে আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই বলে মনে করা যাবে না যে দুধ খেলে আমাদের ত্বকের
ব্রণের সমস্যা হবে না। কারণ দুধে অতিরিক্ত চর্বি থাকায় যাদের তৈলাক্ত স্কিন
তাদের ত্বকে অতিরিক্ত সিরাম বের হতে পারে। অতিরিক্ত সিরাম বের হওয়ার ফলে ত্বক
অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
যেমন, কালো দাগ,ব্রনের সমস্যা,
মেস্তা ইত্যাদি আরও বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যাদের ত্বক অনেক শুষ্ক ত্বকে
সিরামের পরিমাণ অনেক কম, ত্বক মশ্চারাইজার হয় না, তারা
দুধ খেলে ও
ব্রণের সমস্যা হবে না। তাদের জন্য দুধ খাওয়াটাই ভালো হবে।তাই যাদের তৈলাক্ত ত্বক
তাদের জন্য দুধ না খাওয়া ভালো দুধ খেলে ব্রণ হতে পারে।
শেষ কথা
এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় এরকম আরো
অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।