ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কাজ কি - ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

 

প্রিয় পাঠক আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদিভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কাজ কি এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন। 

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কাজ কি ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ ই ক্যাপসুল এর কাজ কি - ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

ভূমিকা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম,ই ক্যাপসুল দিয়ে চুলের যত্ন ,কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এর অভাবে কি হয় ইত্যাদি।আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে  সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে ।যা আপনারা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়লেই জানতে পারবেন। তাই সমস্ত আর্টিকেলটি পরতে থাকুন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

ই ক্যাপসুল দিয়ে চুলের যত্ন

আমাদের সবার ই চুলে কোন না কোন সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন চুল ওঠা, চুল ভেঙ্গে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে খুব সহজে চুলের যত্ন নিতে পারব। যেভাবে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুলের যত্ন নিতে পারি। চুল উঠা একটি বড় সমস্যা আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে যেভাবে চুল উঠা বন্ধ করতে পারি।

হাফ কাপ এলোভেরা জেল অথবা এলোভেরা পাতা থেকে যে জেল বের হয় সেটাও ব্যবহার করা যাবে। তার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল চারটা, ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মধ্যে যে তেল রয়েছে সেগুলো বের করে ,এলোভেরার সঙ্গে ভালোভাবে মিশাতে হবে। এবং গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে এটা ব্যবহার করতে হবে। এভাবে আপনারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনাদের চুল ওঠা কমে যাবে।
চুলের খুশকি আমাদের সবার মাথায় হয়ে থাকে এবং এটা থেকে আমাদের চুলের অনেক ক্ষতি হয়। এবং খুশির কারণে চুল অনেক চুলকায়। তাই এই খুশকি দূর করতে আমরা যেভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করব। ৩-৪ টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে হাফ কাপ টক দই এর সঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগাতে হবে এবং এক ঘন্টা পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে কয়েক দিন ব্যবহারের ফলে চুলের খুশকি দূর হয়ে যাবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা সবাই চাই যে আমাদের ত্বক একটু উজ্জ্বল বা ফর্সা হোক কারণ, ফর্সা ত্বক সবারই পছন্দ তাই আমরা ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ও আমাদের ত্বককে ফর্সা করতে পারে। আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে যেভাবে ত্বক ফর্সা করব, তিন টেবিল চামচ পাকা পেঁপের রস ও আধা চামচ মধু এবং ৩ ৪ ফোঁটা লেবুর রস ও দুই তিনটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিব।

এরপর ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে বা সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে নিব, এবং শুকনো করে মুখ মুছে নিব এরপর যে পেস্ট তৈরি করলাম সেই পেস্ট টি ভালোভাবে সমস্ত মুখে লাগাতে হবে। লাগানোর আধাঘন্টা পর ত্বকে যখন পেস্ট টি ভালোভাবে শুকিয়ে যাবে,এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুই তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনাদের ত্বক আস্তে আস্তে ফর্সা হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারি যেমন আমাদের কোন এর কালো দাগ এবং হাঁটুর কালো দাগ দূর করতে এই ভিটামিন ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারি। এক চামচ চিনির সঙ্গে দুই তিনটা ভিটামিন এ ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে হবে এবং লেবু অর্ধেক করে কেটে, অর্ধেক লেবু নিয়ে তার ওপরে চিনি আর ভিটামিন ই ক্যাপসুলের মিশ্রণটি দিতে হবে, এবং কুনোয়ের কালো দাগের ওপর আস্তে আস্তে লাগাতে হবে।

এভাবে ১০ মিনিট ধরে লাগান, এভাবে এক সপ্তা ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন আপনাদের কুনয়ের ও হাঁটুর কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। আমরা ঠোঁটের যত্নেও এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকি। আমাদের অনেকেরই ঠোঁট ফেটে যায় এবং অনেকের ঠোঁট কালো হয়, যদি একটা ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর ভিতরের তেলটি নিয়ে আমরা যেভাবে ভ্যাসলিন ঠোঁটে ব্যবহার করি সেভাবে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ব্যবহার করতে থাকলে ঠোঁটের কালো দাগ ও ঠোঁট ফাটা বন্ধ হয়ে যাবে।
মুখের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারি। আমাদের অনেকের স্ক্রিন অনেক সময় অনেক খসখসা হয়ে যায়। তখন আমরা ভেবে পাইনা কিভাবে এটা ঠিক করা যায় । ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে এটা অনায়াসে ঠিক হয়ে যায় । আমরা রাতে ঘুমানোর সময় একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল সমস্ত মুখে ভালোভাবে মেখে ঘুমিয়ে যাব এবং সকালে উঠে ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিব, এভাবে কয়েকদিন ব্যবহারে মুখের খসখসা ভাব দূর হয়ে যাবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে মুখে ব্যবহার করব

ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমরা মুখে সরাসরি ব্যবহার করতে পারি আবার বিভিন্ন প্যাক বানিয়েও ব্যবহার করতে পারি। যেমন যাদের স্কিন অনেক তৈলাকত তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়। তারা বিভিন্ন প্যাক বানিয়ে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারে। আমরা যেভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে প্যাক বানাতে পারি।

আমাদের চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে আমরা এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারি। তিন চামচ শসা কুচি ও এক চামচ আলুর রস এবং একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসঙ্গে মিশিয়ে চোখের চারিপাশে দিয়ে রাখবো, এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আমাদের চোখের নিচের কালো দাগ অনায়াসে দূর হয়ে যাবে ।

মুখের কালো দাগ দূর করতে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল যেভাবে ব্যবহার করে থাকে। একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর সাথে চার-পাঁচ ফোটা লেবুর রস ও এক চামচ মধু এবং দুই চামচ বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নেব। এবং এটি সমস্ত মুখে আধা ঘন্টার জন্য লাগিয়ে রাখবো আধা ঘন্টা পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিব। এভাবে ব্যবহারে খুব সহজে মুখের দাগ দূর করা যায়।

ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়

ভিটামিন ই এর অভাবে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ যে কোন ভিটামিন এর অভাবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ভিটামিন ই এর অভাবে আমাদের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে , হাত-পা অসর হয়ে পড়ে , হাত পায়ে অনেক ব্যথা হয়, হাঁটতে অনেক অসুবিধা হয় , আরো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই ভিটামিন ই এর অভাবে ।

ভিটামিন ই এর অভাবে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যায় এবং বিভিন্ন রোগের বাসা বাঁধতে থাকে। এবং ভিটামিন ই এর অভাবে শরীরের বিভিন্ন শিরা গুলো ফাঁকা হয়ে যেতে থাকে। কারণ ভিটামিন ই এর প্রধান কাজ হল এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করা। ভিটামিন ই এর অভাবে শরীর-অসার হয়ে পড়ে এবং শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয় কোন কাজ করার শক্তি পাওয়া যায় না।

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই না থাকলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, যেমন চোখে না দেখা, বা চোখে আবছা দেখা চোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ই এর অভাব যদি শরীরে দেখা দেয় তাহলে, তাহলে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভিটামিন ই এর অভাবে আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের ভিটামিন ই এর অভাব যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ভিটামিন ই মুখে মাখলে কি হয়

ভিটামিন ই তে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে পারে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের ফলে মুখের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে কোন মশ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও মুখ ভালো থাকে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের ফলে আমাদের মুখে যে সকল দাগ,বলিরেখা বা বয়সের ছাপ পড়ে। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের ফলে এ সকল সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায় । এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বক অনেক নরম ও সফট হয়ে যাই ।

এবং মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারে মুখের বিভিন্ন উপকার হয়ে থাকে। তাই আমরা নিয়ম অনুযায়ী এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে। আমাদের মুখের বিভিন্ন সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।

মন্তব্য

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url