কিসমিস এর উপকারিতা - কিসমিস ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন

 

প্রিয় পাঠক,আপনি কিসমিস এর উপকারিতা জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ অবিবাহিত কিসমিস এর উপকারিতা  জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি কিসমিস এর উপকারিতা এবং কিসমিস ব্যবহারের নিয়ম  বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন। 

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু কিসমিস এর উপকারিতা ও কিসমিস ব্যবহারের নিয়মসম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ কিসমিস এর উপকারিতা - কিসমিস ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন

ভূমিকা

এই আর্টিকেলটি দ্বারা আমরা কিসমিসের গুনাগুন, কিসমিস এর উপকারিতা, কিসমিস কিভাবে খেতে হয় ও আরো অনেক বিভিন্ন পয়েন্ট আকারে এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে। তাই সম্পূর্ণ আটেকেলটি পড়লে আপনারা কিসমি কিসমিস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আমরা অনেকে কিসমিস খাইনা কিন্তু আমরা কল্পনা করতেও পারি না যে কিসমিসে কি পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে এবং আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী।

খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা

কিসমিস খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের পেশার লো থাকে তাদের জন্য খেজুর ও কিসমিস অনেক উপকারী।

নিয়মিত খেজুর ও কিসমিস খেলে লোপেশার ঠিক হয়ে যায়। খেজুর ও কিসমিস অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা কারণ অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি।আমরা যদি নিয়মিত কিসমিস ও খেজুর খাই, তাহলে এই কিসমিস আর খেজুর আমাদের ব্রেন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

নিয়মিত সকালে খেজুর ও কিসমিস খেলে ছোট অথবা বড় সকলেরই ব্রেন আস্তে আস্তে ভালো হবে। কিসমিস খেলে শরীরের অনেক দুর্বলতা কাটে। হাত পা ব্যথা করলে কিসমিস খেলে আস্তে আস্তে হাত পায়ের ব্যথা ভালো হয়ে যায়। তাই কিসমিস ও খেজুরের উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

আমরা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ১০ থেকে ১২ টা কিসমিস ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ঘুম থেকে উঠে কিসমিস আর ভিজিয়ে রাখা পানি একসঙ্গে ব্লেন্ডার করে। তার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে শরবত করে খেলে। যাদের হাতে পায়ে জ্বালাপোড়া করে, ও পেশাব জ্বালাপোড়া করে।
তাদের জন্য এই কিসমিসের শরবত অনেক উপকারী। কিসমিস ভেজিয়ে খেলে, যাদের চোখের সমস্যা বা চোখ ব্যথা করে বা মাথা ব্যথা করে তাদের জন্য এই কিসমিস অনেক উপকারী। যারা কিসমিস সরাসরি খেতে পারে না গ্যাসের সমস্যা হয় তারা পানিতে ভিজিয়ে এভাবে খেলে। কিসমিস খেলেও গ্যাসের সমস্যা হবে না।

দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

আমরা জানি দুধের উপকারিতা অনেক এবং কিসমিস এর উপকারিতা অনেক, তাই দুধ আর কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য একটি উপযুক্ত খাবার। যা আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ভালো রাখে। এবং দুধ ও কিসমিস আমাদের শরীরের দুর্বলতা কাটানোর মহা ওষুধ।

যেভাবে দুধ আর কিসমিস একসঙ্গে খেলে ভালো উপকার হয়। এক গ্লাস দুধ ভালো ভাবে গরম করে, নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে । এবং ৮-১০টা কিসমিস অল্প এ পানি দিয়ে ব্লেন্ডার করে বা পাটায় বেটে নিতে হবে। তারপর সকালে খালি পেটে।

এক গ্লাস দুধের সাথে কিসমিস এর পেস্ট মিশিয়ে নিতে হবে এবং সেবন করতে হবে। তাহলে আমাদের শরীরের জ্বালাপোড়া, হাত ও পায়ের জ্বালাপোড়া, প্রসাবের জ্বালাপোড়া ইত্যাদি আরো অনেক শরীরের সমস্যা দূর হয়ে যায়। আমরা আরো বিভিন্নভাবে এই দুধ ও কিসমিস খেতে পারি।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

আমরা জানি যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। পরিমাণ মতো না খেলে আমাদের শরীরের জন্য সেটা উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়। যেমন আমরা যদি ওষুধ খাই কিন্তু ওষুধের পরিমাপ না জানে তাহলে ওষুধ খেলে যেমন আমাদের কোন উপকার হবে না।
তেমন কিসমিস কতটুক আমাদের শরীরের জন্য উপকারী বা কতটুক খাওয়া উচিত তা জেনে নিব। আমরা দিনে ৫০ গ্রাম কিসমিস খেতে পারি। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য ১০ থেকে ১৫ টি। কারণ অতিরিক্ত কিসমিস খেলে, পাতলা পায়খানা হয়ে যেতে পারে। তাই আমরা নিয়ম অনুসারে এই কিসমিস খাব।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমরা ৭-৮ টা কিসমিস চিবিয়ে খেতে পারি। এতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং ঘুম ভালো হয়। আমাদের ঘুম যদি ভালো না হয় তাহলে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর বাচ্চারাও ঘুমাতে যাবার আগে কিসমিস খেতে পারে।

এতে বাচ্চাদের ব্রেন ভালো হতে সাহায্য করে। কারণ রাতে বাচ্চারা ছোটাছুটি কম করে।শরীরে ভালোভাবে কাজে লাগে। এবং বাচ্চারা ভালোভাবে ঘুমিয়ে পড়ে। এবং বাচ্চাদের ঘুমটাও ভালো হয়।

প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়

কিসমিস বিভিন্ন রোগের সেফা। কিসমিস খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন নিয়মিত কিসমিস খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে। যেমন, কিসমিস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কিসমিসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন নিয়মিত কিসমিস খেলে। যে সকল বাচ্চারা কম বাড়ে, নিয়মিত কিসমিস খাওয়াতে বাচ্চারা বড় হতে থাকে। এবং তার পাশাপাশি তাদের ব্রেনো পরিষ্কার থাকে। এতে বাচ্চারা পড়াশুনা করতে ভালো পারে।

প্রতি নিহত কিসমিস খেলে যাদের হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় হাত-পা ঝিনঝিন করে এবং হাত-পায়ে বল পায় না। তারা নিয়মিত কিসমিস খেতে থাকলে তাদের এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু নিয়ম অনুসারে প্রতিদিন কিসমিস খেতে হবে।

বিভিন্ন রেসিপিতে কিসমিসের ব্যবহার

আমরা বিভিন্ন রান্নার কাজে এ কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। আমরা মিষ্টি কিছু বানালে তার মধ্যে কিসমিস দিয়ে থাকি। যেমন, লাচ্ছা, সেমাই, পায়েশ ইত্যাদি অনেক কিছুতে এই কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। আরো বিভিন্ন রান্নায় আমরা এই কিসমিসের ব্যবহার করে থাকি।
যেমন আমাদের বাসায় মেহমান আসলে আমরা সকলে সচরাচর পোলাও বিরিয়ানি করে থাকে। এই পোলাও বা বিরিয়ানিতে এই কিসমিস দিয়ে রান্না করলে। পোলাও বিরিয়ানির স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যা আমরা সবাই পছন্দ করে থাকি। আরো বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে এই কিসমিসের ব্যবহার করে থাকি।

যেমন যেকোনো ডেজার্ট বানানোর পর আমরা ডেকোরেশনের কাজে এই কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। যেমন, সুজির বরফি ডেকোরেশন করতে আমরা এই কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। ওপরে কিসমিস দেবার কারণে সুজির বরফি দেখতে আকর্ষণীয় হয়।

মন্তব্য

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। কিসমিস এর উপকারিতা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url