গর্ভাবস্থায় কি ফল খাওয়া যাবে - গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

 

প্রিয় পাঠক, গর্ভাবস্থায়  কি ফল খাওয়া যাবে  - গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়  এ বিষয়ে আপনি জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু এর সদুত্তর কোথাওখুঁজে পাচ্ছেন না। স্টেপ বাই স্টেপ আমিগর্ভাবস্থায়  কি ফল খাওয়া যাবে  - গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়   জানানোর চেষ্টা করব। যদি আপনি গর্ভাবস্থায়  কি ফল খাওয়া যাবে  - গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় ও  গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর উত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু গর্ভাবস্থায়  কি ফল খাওয়া যাবে  - গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়  এই বিষয়েই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।যদি আপনি পয়েন্টগুলো ভালোভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভবস্থায় কি ফল খাওয়া যাবে-গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলেগর্ভাবস্থায়  কি ফল খাওয়া যাবে  - গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়   , গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া যাবে আর কোন ফল খাওয়া যাবে না, কোন মাছ খাওয়া যাবে আর কোন মাছ খাওয়া যাবেনা , কি সবজি খাওয়া যাবেনা , কি ফল খেলে উপকার হবে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে

গর্ভাবস্থায় কি ফল খাওয়া যাবে - গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
কলা-কলা ফল তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কারণ কলার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬ , ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়ামের মত মূল পুষ্টি রয়েছে । কলা মেয়েদের বমন ভাব কে দূর করতে পারে ,বাচ্চা পেটে আসলে বমি ভাব হয় সেই বমি ভাব কে দূর করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। কলা- ভ্রুনকে রক্ষা করার কাজ করে অর্থাৎ বাচ্চাদানি কে প্রটেক্ট করে রাখে।

পেয়ারা-পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি , ও ই রয়েছে যা গর্ভবতী মায়ের শরীরে শক্তি যোগায় এবং বাচ্চার স্নায়ু তন্ত্র কে শক্তিশালী করে তোলে এজন্য গর্ভবতী মা দের বেশি বেশি পেয়ারা খাওয়া উচিত।

আপেল-এমন একটি ফল যে ফল সব সিজনেই পাওয়া যায় এই ফলটি গর্ভবতী মাকে খাওয়ালে বাচ্চার অনাক্রম্যতা এবং শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে এই ফলটি বাচ্চা বেড়ে ওঠার সময় হাঁপানি একজিমার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
ডালিম-ডালিমে প্রোটিন, ভিটামিন সি , ক্যালসিয়াম রয়েছে। গর্ভবতী মায়ের ক্যালসিয়াম জোগাতে সহায়তা করে ও ভিটামিন সি এর ঘাটতি পুরা করতে সহায়তা করে ।

আম-আমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি যা গর্ভবতী মায়ের হজমে সহায়তা করে ।কষ্ট কাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা দূর করে, আম হল একটি মৌসুমী ফল যার সিজনেই পাওয়া যায় অন্য সময় পাওয়া যাইনা। শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে।এছাড়াও স্ট্রবেরি, তরমুজ , কমলা লেবু , ইত্যাদি।

ফল-একজন গর্ভবতী মায়ের পরিমান মত ফল খাওয়া উচিত-প্রতিটা খাবারই পরিমাণমতো খাওয়া উচিত
অর্থাৎ কলা এক পিচ ,আপেল খেলে একটি , আঙ্গুর কয়েক পিচ , জুস করে খেলে এক কাপ্‌, আম জুস করে খেলে এক গ্লাস পরিমাণ। মোটকথা আমরা বলতে পারি পরিমাণ মতো খেতে হবে এতে উপকার হবে। অন্যথায় উপকারের চাইতে অপকার বেশি হবে।

গর্ভবতী মায়ের কি কি খাবার খাওয়া উচিত না

পনির বা চিজ-পনির বা চিজ গর্ভবতী মা ও বাচ্চা উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। আমরা কম বেশি আমরা সবাই বার্গার খেতে পছন্দ করি যেহেতু গর্ভ অবস্থায় মায়েদের একটু বেশি খেতে হয় এজন্য তারাও বার্গার খেতে পছন্দ করে ।বার্গারের মধ্যে চিজ না দিলে টেস্ট আসে না যে পনির বা চিজ গুলো সাধারণত পাস্তরি্ত থাকেনা অপাস্ত্রোরিত , এই সকল চিজ মা এবং গর্ভের বাচ্চা উভয়ের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় কারণ এই পনির বা চিজ কাঁচা দুধ থেকে তৈরি হয়ে থাকে। তাইপনির বা চিজ থেকে দূরে থাকা উচিত।

কলিজা-কলিজা এমন একটি খাবার যে খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গর্ভবতীর মায়ের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।প্রতিটা ভিটামিনের একটা পরিমাণ রয়েছে। কারণ প্রতিটা ভিটামিনের এফেক্ট বাচ্চার উপর পড়ে এজন্য আমাদের এমন কোন খাবার খাওয়া যাবে না যেটা, আমার বাচ্চার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এজন্য গর্ভবতী মা দের প্রতি অনুরোধ গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খাবেন।

কাঁচা দুধ- কাঁচা দুধ পান করা থেকে বিরত থাকবেন কারণ কাঁচা দুধের মধ্যে অনেক ধরনের জীবাণু থাকে। যদি আপনি দুধ ভালোভাবে না ফুটিয়েই খান তাহলে দুধের সাথে যে জীবাণুগুলো ছিল সেগুলো আপনার পেটের মধ্যে চলে গেল আর পেটের মধ্যে যাওয়ার ফলে এই জীবাণুগুলো আপনার এবং বাচ্চার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এজন্য কাঁচা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

কাঁচা ডিম-কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন ।কারণকাঁচা ডিমের মধ্যে অনেক ধরনের জীবাণু থাকে যে জীবাণুটা পেটে চলে যাই। পেটে যাওয়ার ফলে বাচ্চার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেকেই ধারণা করে যে , কাঁচা ডিমে বেশি ভিটামিন ধারনাটি সম্পূর্ণটাই ভুল। কাঁচা ডিম কেন খাওয়া যাবেনা? কারণ কাচা ডিমের মধ্যে সাল্মনেল্লা নামক রোগের একটি সম্ভাবনা থাকে যা গর্ব অবস্থায় দেখা দেয়। অতএব গর্ভাবস্থায় কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

চা/কফি-চা/কফি বেশি পরিমাণে খাওয়া থেকে গর্ভ অবস্থায় বিরত থাকুন। কারণ চা কফির মধ্যে ক্যাফে ইন রয়েছে যা পরিমাণের চেয়ে বেশি হলে বাচ্চা ও গর্ভবতী মা উভয়েরজন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ ক্যাফে ইন প্লাসেন্টাতে গিয়ে সরাসরি বাচ্চার হৃদপিন্ডে ভূমিকা রাখে । তাই তাই চা কফি থেকে যতটা পারুন বিরত থাকুন।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ব অবস্থায় যে ফলগুলো খাওয়া উচিত নয় সেগুলো হলো
পেঁপে-পেঁপে খাওয়া উচিত নয় কারণ পেঁপে শরীরের তাপমাত্রা কে বাড়িয়ে দেয়। এতে ভিটামিন থাকলেও এমন কিছু পদার্থ রয়েছে যে পদার্থটা বাচ্চা প্রসবের নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই পেটে টান ধরাই এমনকি গর্ভপাত ও ঘটাতে পারে এজন্য পেঁপে খাওয়া উচিত নয়।

আনারস-আনারসে পুষ্টির উপাদান থাকলেও বেশি পরিমাণ আনাস খাওয়া উচিত নয় কারণ এটা একটি অতিরিক্ত উষ্ণ ফল ফল। উষ্ণ ফলে ব্রোমেলিন নামক যে এনজাইমটি থাকে সেটা প্রোটিনকে ভেঙ্গে দেয়, ফলে জরায়ুতে অত্যান্ত বেদনা হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত আনারস খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ফরমালিনএমন কোন ফল খাবেন না যে ফলের মধ্যে ফরমালিন রয়েছে অর্থাৎ এমন জিনিস দিয়ে পাকানো হচ্ছে যে ফলটা পতনশীল না বা পচবে না এমন ধরনের ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বরফে জমানো ফল-বরফে জমানো ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বরফে জমানো ফল খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মা ও বাচ্চা উভয়রই ঠান্ডার সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেটা সারা জীবনের কান্নার কারণ হতে পারে অতএব বরফে জমানো ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না

এমন কোন সামুদ্রিক মাছ যেই মাছের মধ্যে অধিক পরিমাণে পারদ থাকে সেই সামুদ্রিক মাছগুলোকে গর্ভ অবস্থায় হওয়া উচিত নয।অধিকাংশ চিকিৎসকদের মতে কিন্তু যে মাছগুলোকে অধিক পরিমাণে পারদ নেই সেগুলো খেলে কোন সমস্যা নেই যেমন চিংড়ি ,মাগুর , শিং তেলাপিয়া ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

  • গর্ভাবস্থায় মায়ের দুধ পান করা অত্যাবশ্যকীয়। শিশুর শরীর গঠনের জন্য দুধ অত্যন্ত উপকারী ।প্রচলিত ধারণা মতে এই দুধ বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করে। দুধে আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের ভিটামিন দিয়েছেন। এজন্য গর্ভবতী আমাদের অবশ্যই দুধ খাওয়া উচিত
  • প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মানুষ বিশ্বাস করে যে ডিম খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়। তবে এই কথা সত্য যে ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে । একটা মা তার নিজের শরীরের পুষ্টি জোগাতে হবে , প্লাস তার বাচ্চার পুষ্টিও জোগাতে হবে এজন্য প্রতিটা মায়ের গর্ভ অবস্থায় ডিম খাওয়া উচিত।
  • চেরি বেরি জাতীয় ফল-চেরি বেরি, ব্ল্যাকবেরি এই জাতীয় ফল ত্বককে সুন্দর ও ফর্সা ফর্সা করার জন্য খাওয়া হয় । কারণ এর মধ্যে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অতএব এ জাতীয় ফল গর্ভবতী মাদের খাওয়া উচিত।
  • নারিকেল দুধ-গর্ভাবস্থায় পরিমাণ মতো নারিকেল খাওয়া উচিত। প্রচলিত ধারণা মতে নারিকেল দুধ খেলে বাচ্চার গায়ে রং ফর্সা হয়। তবে একথা সত্য যে নারিকেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে এজন্য পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত।
  • কমলালেবু-কমলালেবু ভিটামিন সি জাতীয় ফল এই ফলে বাচ্চার শরীর সুস্থ থাকতে এবং ভিটামিন জোগাতে ও বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে সহায়তা করে এজন্য নিয়মিত কমলা লেবু খাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

পেঁপে- পেপের মধ্যে লেটেক্স নামে এক ধরনের পদার্থ আছে যা গর্ভজাতসন্তানের খুব ক্ষতি করে। এছাড়াও ঠান্ডা জাতীয় সবজি যেমন পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া এগুলো ঠান্ডা জাতীয় সবজি যা সন্তানের ক্ষতি করতে পারে এবং কাঁচা শাকসবজি যেগুলোর মধ্যে ময়লা জীবানু থাকতে পারে যে গুলো খেলে বাচ্চার ক্ষতি করতে পারে। এরপর ভ্রমণের সময় হকারদের কাছ থেকে আমড়া, পেয়ারা , শসা ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের জীবাণো থাকতে পারে যা সন্তানের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

গর্ভাবস্থায় যেসব কাজ এড়িয়ে চলবেন সেগুলো হলো এমন কোন ভারী কোন কাজ করা যাবে না যেগুলো এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যেতে হয়। উপরে উঠে এমন কোন কাজ যেগুলো চেয়ারে বা টুলে দাঁড়িয়ে উপরের দিকে হাত উঠিয়ে করতে হয় যেমন ফ্যান পরিষ্কার করা ইত্যাদি এসব কাজ গর্ব অবস্থায় করা যাবে না। কারণ এতে গর্ভপাত হতে পারে ,বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে বাচ্চার অঙ্গহানি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি

গর্ব অবস্থায় শসা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী শসার মধ্যে এমন পদার্থ রয়েছে যে পদার্থের মানুষের শরীরের চর্বি কমিয়ে ফেলে এজন্য গর্ভবতী মায়ের শরীরের মধ্যে অবাঞ্ছিত চর্বি থাকে সেগুলো দূর হয়ে যাবে। দ্বিতীয়তঃ গর্ভবতী মায়ের প্রাথমিক অবস্থায় বমি বমি ভাব হয়ে থাকে এই বমি ভাব কে শশায় দূর করে দেয়।
শশাই প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , আয়রন , পটাশিয়াম , জিংক সেলেনিয়াম সোডিয়াম পাওয়া যায় যা গর্ভবতী মায়ের জন্য এবং বাচ্চার জন্য খুব বেশি উপকারী হয়ে থাকে। যা বাচ্চার শরীর সুস্থ ও গর্ভবতী মায়ের শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে ।

শেষ কথা

আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায়  কি ফল খাওয়া যাবে  - গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়, কি ফল খাওয়া উচিত , কি খাওয়া উচিত না। যদি আপনার কাছে এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অনুগ্রহপূর্বক অন্যদের কাছে শেয়ার করে দিন। আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url