ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা - মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত

 

প্রিয় পাঠক আপনি ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা  জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ অবিবাহিত ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা ও মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন। 

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা - মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত

ভূমিকা

আমাদের মুখে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে এতে আমাদের চেহারা দেখতে অনেক খারাপ লাগে। ভেবে পাইনা কিভাবে এই সমস্যা দূর করা যায় এবং কেন মুখে ব্রণ হয়, ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা করে কিভাবে ব্রণ দূর করা যায়। আরো বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি স্টেপ বাই স্টেপ পড়তে থাকুন। আপনি যা জানতে চাচ্ছেন তা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়

যে সকল ভিটামিনের অভাবে আমাদের মুখে ব্রণ হয়ে থাকে সেগুলো হলো ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন B3, ভিটামিন ই, ইত্যাদি আরো ভিটামিনের অভাবে আমাদের মুখের ব্রণ হয়ে থাকে। কারণ,

ভিটামিন এ ভিটামিন এ এর অভাবে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। ভিটামিন এ একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি আমাদের শরীরের প্রদাহ কমায়। এ সকল ঘাটতি পূরণ করতে আমরা বিভিন্ন ফল বা সবজি খেতে পারি। যেমন, গাজর, টমেটো কাঁচা মরিচ ইত্যাদি।
ভিটামিন ডি ভিটামিন ডি এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে আমাদের মুখের ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি আমাদের মুখের ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। হাড় মজবুত করতে ও ভিটামিন ডি এর জবাব নেই।

মেয়েদের মুখে ব্রণ কেন হয়

ছেলেদের চেয়ে অধিকাংশ মেয়েদের মুখে ব্রণ বেশি হয়। কারণ মেয়েদের মুখ বেশি সেনসিটিভ হয়। মানুষ যখন অধিক ডিপ্রেশনে থাকে ও খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করে না, তখন এ সকল সমস্যা বেশি দেখা দেয়। কারণ মেয়েরা অল্পতেই ডিপ্রেশনে চলে যায়।

আবার অনেক সময় মেয়েরা সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন। মেকআপ করে থাকে এর ফলে মুখের চামড়া পাতলা হয়ে যায় ফলে ব্রণ বের হয়ে যায়। আবার মুখের যত্ন না নিলেও মুখে ব্রণ হয়, কারণ মুখে ময়লা জমাট বাঁধে। মুখে ব্রণ বের হওয়ার আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে।

যেমন, পানি কম খাওয়া সারাদিন কমপক্ষে ৫ লিটার পানি খেতে হবে। যখন পানি কম খাওয়া হয়,তখন আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, চোখের নিচে কালো দাগ, চামড়া কুঁচকে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই ঠিক মতো পানি খেলে মুখে ব্রণ বের হবে না। কারণ শরীরে পানি সল্পতা দেখা দিলেও ব্রণ বের হয়।

কি খেলে ব্রণ ভাল দূর হয়

আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না কি খেলে আমাদের মুখের ব্রণ ভালো হবে। আমরা ব্রণ দূর করার জন্য যে সকল কাজগুলো করতে পারে। যেমন, যেকোনো ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে পারি। বা ডাক্তার যা খেতে বলে সেই রুটিন অনুযায়ী খাবার খেতে পারি।

আরো বিভিন্ন খাবার খেলে মুখের ব্রণ ভালো হয়, যেমন ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হাফ কাপ নিমপাতার রস খেতে পারে। অথবা একটা করলা ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে দুই গ্লাস পানির মধ্যে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। যখন দুই গ্লাস পানি এক গ্লাসে পরিণত হবে, করলার জুস রোজ সকালে খেতে হবে।

আমরা জানি খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে সেফা দান করে। এই খেজুর সকালে ঘুম থেকে উঠে তিন টুকরো ও কিছু কালিজিরা একসঙ্গে খেলে এতে মুখের ব্রণ আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে।

ব্রণ হওয়ার কারণ

ব্রণ হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে।যেমন, অধিক দুশ্চিন্তা করলে মুখে ব্রণ হতে পারে। আবার ভিটামিনের অভাবে ও ব্রণ হয়ে থাকে। হরমোনের অভাবে ও ব্রণ হয়ে থাকে। শরীরে যদি পানি স্বল্পতা হয়ে যায় তাহলে ও মুখে ব্রণ হতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
আবার মুখের অযত্নের কারনে ব্রণ হয়ে থাকে,আমাদের মুখে যখন, ময়লা জমে সেই ময়লা জমার কারণে মুখে ব্রণ হয়। সেজন্য দিনে দুইবার করে মুখ পরিষ্কার করা উচিত। এতে ব্রন হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ব্রণ হওয়ার আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে।

যেমন, আমরা অনেকে শাকসবজি ও ফলমূল খেতে চায় না, কিন্তু এতে আমাদের ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। কারণ এ সকল ফলমূল শাক সবজি তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। যা আমাদের ব্রণ কমাতে ও ত্বক সুন্দর রাখতে ও ফর্সা করতে সাহায্য করে।

ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা

আমরা অনেকে বাইরের যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চায় না, আমরা ব্রণ ভালো করার জন্য ঘরোয়া ভাবে এর চিকিৎসা করতে চাই। তাই ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা কি ভাবে করলে ব্রণ ভালো হয় তা জেনে নিন। আমরা ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্নভাবে এই ব্রনের চিকিৎসা করতে পারি।

ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে ব্রণ ভালো করতে পারি।যেমন , শসা দিয়ে আমরা বর্ণের চিকিৎসা করতে পারি, আমরা শসা দিয়ে যেভাবে ব্রনের চিকিৎসা করব, ২ থেকে ৩ চামচ শসার রস নিতে হবে এবং তার সঙ্গে ৩ ৪ ফোটা লেবুর রস ও দুই চামচ বেসন ভালোভাবে মিশিয়ে সমস্ত মুখে এপ্লাই করতে হবে।

এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে ব্রণ কমে যাবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মাধ্যমে ও ব্রণ ভালো করা যায়, দুইটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে তার ভিতরের তেল বের করে নিতে হবে, তার সঙ্গে এক চামচ মধু ও দুই চামচ আতপ চালের গুড়া মিশিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণ ভালো হয়।

মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত

মুখে ব্রণ হলে আমাদের মুখ দেখতে অনেক খারাপ লাগে। যা আমাদের চেহারার সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। তাই আমরা ভাবি ব্রণ হলে আমরা মুখে কি মাখবো এবং কি মাখা উচিত তা ভেবে পাইনা তাই । মুখের ব্রণ ভালো করার কিছু উপায় জেনে নিন।

মুখে ব্রণ হলে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারি কারণ, অনেক সময় হরমোনের কারনে মুখে ব্রণ হয়ে থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করতে পারি। প্রোডাক্টগুলো যেমন সাবান, কোন ক্রিম, কোন ফেসওয়াশ, বা কোন ঔষধ হতে পারে।
আমরা ঘরোয়া উপায়েও বিভিন্ন সাবান বানিয়ে ব্যবহার করতে পারি। আবার ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন ক্রিম বানানো যায়। তা আমাদের মুখের জন্য অনেক কার্যকরী হয়। এসব ঘরোয়া উপকরণ আপনাদের হাতের কাছে থাকে যা আপনাদের স্কিনের কোন ক্ষতি করে না।

মন্তব্য

ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url