আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস - ঘরোয়া বিউটি টিপস

 

প্রিয় পাঠক রূপচর্চা নিয়ে আমরা অনেকে অনেক কিছু জানতে চাই। কিন্তু আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস এর সঠিক তথ্য জানতে পারছি না। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে স্টেপ বাই স্টেপ পড়তে থাকেন। তাহলে আপনি আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস এবং ঘরোয়া বিউটি টিপস সম্পর্কে যে তথ্য জানতে চাচ্ছেন তা আপনি অনায়াসে জানতে পারবেন। কারণ এখানে আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস সহ বিভিন্ন আলোচনা করা হয়েছে । আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন।
আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস - ঘরোয়া বিউটি টিপস

প্রিয় পাঠক এ আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ জানানোর চেষ্টা করেছি,আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস এবং ঘরোয়া বিউটি টিপস সহ নিচে বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। যাতে আপনি অনায়াসে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। কখন কোন সময় কিভাবে রূপচর্চা করতে হয়। তা এই আর্টিকেলের মধ্যে পেয়ে যাবেন।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস - ঘরোয়া বিউটি টিপস

ভূমিকা

এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা করতে হয়,শীতকালে কিভাবে রূপচর্চা করতে হয়। রাতে কিভাবে রূপচর্চা করতে হয়,এবং আরো বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। যা আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস ভালোভাবে জানতে পারবেন। আধুনিক রূপচর্চা বিষয়কপ টিস সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছ।

ঘরোয়া বিউটি টিপস

সবাই চাই যেন তাদের স্কিন ভালো এবং সুস্থ থাকে।দাগ হীন ও পিম্পুল মুক্ত স্কিন হয় এজন্য আমরা অনেক কিছু করে থাকি। আমাদের স্কিন রোদে কালো হয়ে যায়। সবার পক্ষে বাইরের জিনিস কিনে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। তাই আমরা ঘরোয়া উপায়ে অনেক কিছু ব্যবহার করে স্কিনের যত্ন নিতে পারি। আমাদের ঘরের মধ্যেই এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা আমরা স্কিনে ব্যবহার করলে আমাদের স্কিন ভালো থাকবে।

যেমনঃ হলুদ,চালের গুড়া,বেসন,অ্যালোভেরা, কোকোনাট অয়েল,লেবুর রস,মধু,আলুর রস আরো অনেক কিছু আছে যা আমাদের ঘরেই থাকে। আমরা ঘরোয়া ভাবে আরও অনেক কিছু ব্যবহার করতে পারি।যাতে আমাদের স্কিন ভালো থাকে। যেমন, ফলের রস স্কিনের জন্য খুবই উপকারী আমরা ফলের রস দিয়েও রূপচর্চা করতে পারি। আমরা একটু চেষ্টা করলে আমাদের স্কিনকে ভালো রাখতে পারে।

আমাদের হাতের কাছে সবকিছু থাকে কিন্তু আমাদের যত্নের অভাবে আমাদের স্কিন গুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই এসব ঘরোয়া উপাদান আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আমাদের স্কিন ভালো থাকবে। তরমুজের সময় আমরা সবাই কমবেশি তরমুজ খেয়ে থাকি। আমরা জানি না তরমুজের রস আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তরমুজের রসের সঙ্গে, এক চামচ বেসন মিশিয়ে মুখে লাগালে মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যায় এবং ত্বক অনেক নরম হয়।

সহজ রূপচর্চা

আমাদের স্কিনকে সুস্থ রাখতে আমরা যদি একটু কষ্ট করি তাহলে আমাদের স্কিন সুস্থ এবং দাগ হীন হবে। আমাদের হাতের কাছে খুব সহজেই রূপচর্চা করার সহজ উপায় আছে কিন্তু আমরা জানি না।সেগুলো কি? আমরা খুব সহজেই হাতের কাছে থাকা কিছু উপকরণ দিয়ে রূপচর্চা করতে পারি যেমনঃদুধ আমরা সবাই খেয়ে থাকি এই দুধের সর ত্বকের জন্য অনেক ভালো এই দুধের সর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বককে সফট করতে সাহায্য করে।

আবার টমেটো দিয়ে আমরা রূপচর্চা খুব সহজেই করতে পারি। টমেটোর জুস করে দুই চামচ নিতে হবে এবং তার সাথে নারিকেলের দুধ মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে এই ফেস প্যাকটা ব্যবহার করতে হবে। সারারাত মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে সকালে উঠে ধুয়ে ফেলতে হবে। দেখবেন আগের চেয়ে চেহারার উজ্জ্বলতা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আলুর রস, আলু আমাদের হাতের কাছে খুব সহজেই পেয়ে যায় এই আলুর রস আমাদের চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য করে। দুই চামচ আলুর রসের সঙ্গে এক চামচ বেসন ও এক চামচ মধু মিশিয়ে চোখের নিচে লাগাবেন। এটি সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করবেন তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনাদের চোখের কালো দাগ দূর হয়ে গেছে। আরো অনেক ঘরোয়া উপায় দিয়ে আমরা খুব সহজেই ইচ্ছা করলে আমাদের ত্বকে ভালো রাখতে পারে।

লেবু দিয়ে রূপচর্চা

লেবুর রস এ রয়েছে ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। তার পাশাপাশি আমাদের রূপচর্চার কাজেও লেবুর রসের অবদান অনেক । লেবুর রস আমরা রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করতে পারি যেভাবে ব্যবহার করবেন, ৬ ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে এক চামচ আতপ চালের গুড়া,মধু ও গোলাপজল এক সঙ্গে পেস্ট করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।

তারপর ফ্রিজ থেকে বের করে আমাদের ত্বকে ভালোভাবে লাগাতে হবে।ফেসপ্যাক টা স্ক্রিনে শুকিয়ে গেলে আলতো হাতে মাসাজ করতে হবে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে স্কিন ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এটা ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ ও ত্বকের গভীরে যে ময়লা জমে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। চুলের জন্য লেবুর রস অনেক উপকারী।
একটা লেবুর রস করে তার সঙ্গ একটা ডিম মিশিয়ে সমস্ত মাথায় এপ্লাই করতে হবে । ৩০মিনিট পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে আপনি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনাদের চুল গোড়া থেকে অনেক মজবুত হবে। চুল অনেক ঝলমলে ও সিল্কি হবে এবং কারো যদি মাথায় খুশকি থাকে তাহলে তা দূর হতে সাহায্য করে। আরো অনেক কিছু ভাবে আমরা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারি আমাদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে।

শীতের রূপচর্চা

শীতের সময় আমাদের চারিপাশে অনেক ধুলাবালি হয়ে থাকে। যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে থাকে। শীতে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, হাত পা ফেটে যায়। ত্বককে ভালো রাখতে আমরা যে কোন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করব। আমরা অনেকে বাইরে কেনা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে চায় না, আমরা ঘরোয়া উপায়ও আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে পারি।

তিন চামচ দুধ, এক চামচ গোলাপজল, এক চামচ মধু ও দুই চামচ বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে অতঃপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো হাতে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক আগের চেয়ে অনেক সফট হয়েছে। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করতে পারেন।

তাহলে আপনাদের মশ্চারাইজারের প্রয়োজন হবে না। শীতে আমাদের অনেক চুল পড়ে যায় আমরা কি করব ভেবে পাইনা। এই চুল পড়া বন্ধ করতে এলোভেরা জেল, কোকোনাট অয়েল ও বাদামের তেল একসঙ্গে গরম করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় মাসাজ করতে হবে। তাহলে চুল পড়া আস্তে আস্তে কমে আসবে। শীতের সময় যেকোনো তেল মাথায় ব্যবহার করলে তা হালকা কুসুম গরম করে ব্যবহার করবেন এতে আপনাদের চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের গোড়া অনেক মজবুত হবে। খুশকি ও দূর হয়ে যাবে।

রাতের রূপচর্চা 

রাতে ঘুমানোর আগে যে কোন ফেসওয়াস বা সাবান দিয়ে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ঘুমাতে যেতে হবে। না হলে সারাদিনে তকে যে ধুলাবালি লেগে থাকে, তা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়। রাতে মুখ পরিষ্কার করে না ঘুমালে ত্বকে পিম্পল দেখা দেয় ও ত্বক আস্তে আস্তে কালো হয়ে যায়। ঠিকমতো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

দিনের বেলায় ময়শ্চেরাইজার লাগালে তা বেশি খুন থাকে না কারণ সারাদিনে আমরা অনেক পানি ব্যবহার করি এতে মশ্চারাইজার উঠে যায়। কিন্তু রাতের বেলায় লাগালে তা ভালোভাবে সেট হয়ে যায়। কারণ সারারাত আমরা পানি ব্যবহার করি না। তাই রাতের বেলায় মশ্চারাইজার লাগালে তা ভালো কাজ করে।

রাতে ঘুমাতে যাবার আগে চিরুনি করা দরকার, মাথায় যখন চিরুনি করা হয় , তখন মাথার রক্ত চলাচল করে এতে মাথার চুল পড়া বন্ধ হয় যত বেশি চুল চিরুনি করবেন তত বেশি রক্ত চলাচল করবে এতে চুল ওঠা বন্ধ হয় চুল বড় হতে সাহায্য করে । আমরা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে চুল ভালোভাবে চিরুনি করে হালকা করে বেঁধে নেব। চুল কিন্তু বেশি টাইট করে বাধা যাবে না। চুলে তেল লাগিয়ে ঘুমালে সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিলে এতে চুল অনেক সিল্কি হয় এবং সারারাতের চুলের গোড়ায় গোড়ায় তেল পৌঁছায়।

মধু ও চিনি দিয়ে রূপচর্চা

মধু বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত এই উপাদানটি আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস বলে গণ্য করা যায়। মধুতে প্রায় ৪৫ টি খাদ্য উপাদান রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই চামচ মধু ও দুই টুকরা লেবু ,এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ত্বক টানটান থাকবে। এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এক চামচ মধু, এক চামচ এলোভেরা জেল, পাঁচ ছয় ফোটা গোলাপজল ভালোভাবে পেস্ট করে মুখে লাগাতে হবে।

এই প্যাকটি লাগানোর পর কোন কথা বলা যাবে না কারণ এটা অনেক টানটান হয়ে থাকে কথা বললে চামড়ায় টান পড়ে এতে চামড়া জড়ো হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। মুখ নরম ও দাগ হীন হবে। মধু, চিনি,কফি পাউডার ও তিন চার ফোটা লেবুর রস একসঙ্গে পেস্ট করে মুখে লাগালে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনাদের ত্বক অনেকটা ফর্সা হবে।

চিনিতে রয়েছে অনেক গুণাগুণ যা আমাদের ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। অর্ধেক লেবুর ওপর এক চামচ চিনি দিয়ে ঠোঁটের ওপরে হালকা ভাবে মাসাজ করতে হবে। কয়েকদিন ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে ঠোঁটের কালো ভাব দূর হয়ে যায়। এভাবে আপনারা কুনোই এর কালো দাগ ও উঠাতে পারবেন। চিনি ত্বকের স্ক্রাব হিসেবে অনেক কাজ করে। বিভিন্ন কোম্পানিতে বডি স্ক্রাব বানাতে অন্যতম উপাদান হিসেবে চিনি ব্যবহার করে থাকে।

মন্তব্য 

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই । এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস সহ এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url