প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় - কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়

 

প্রিয় পাঠক, প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় জানতে অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন  চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু জানতে পারছেন না।আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় এবং অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ জানতে চান এবং আরো অনেক আলোচনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। চুল নিয়ে আমরা আপনাদের স্টেপ বাই স্টেপ জানানোর চেষ্টা করব। 
প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় - কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়

প্রিয় পাঠক, প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়েছে। কি খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়? কি খেলে চুল গজায়, চুল পড়ার কারণ, প্রতিকার ইত্যাদি অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা দয়া করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে চুল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় - কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়

ভূমিকা

নিচের পয়েন্ট গুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় বিষয়ক অনেক কিছু অনায়াসে জানতে পারবেন। চুলের উপকারিতা, চুল পড়ার কারণ, কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। যা মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা চুল সম্পর্কে যা জানতে চাচ্ছেন তা ভালোভাবে জানতে পারবেন। নিচে অনেক কিছু চুল বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ হচ্ছে ভিটামিনের অভাব।ভিটামিনের অভাবে আমাদের চুল যেমন বড় হয় না তেমন অল্প বয়সে আমাদের চুল পড়ে যায়। অল্প বয়সে চুল পড়ার আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে মানসিক ডিপ্রেশন, মানসিক দুশ্চিন্তা, অপুষ্টি ইত্যাদি আরো অনেক কারণ রয়েছে।
চুলের যত্ন ঠিকমতো না নিলেও চুল পড়ে যায়। যেমন, ঠিকমত চুলে শ্যাম্পু না করা, নিয়মিত তেল না দেওয়া, আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেমন, জ্বর, লিভার, কিডনির বিভিন্ন অসুখ ও কেমোথেরাপি নেওয়ার পরে বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার জন্য চুল উঠে যায় আরো অনেক কারণ রয়েছে চুল ওঠার। আমরা যদি ঠিকমতো চুলের পরিচর্যা করি তাহলে আমাদের চুল সুন্দর থাকবে ও চুল পড়া থেকে বিরত থাকবে।

অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ

আমাদের অনেকের অতিরিক্ত চুল পড়ে কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ কি। আমরা খুঁজতে থাকি কেন আমাদের এত চুল ঝরে যাচ্ছে। অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ, ভিটামিনের অভাব অপুষ্টি চুলের যত্ন না নেওয়া ইত্যাদি। আমরা অনেকে শাকসবজি ফলমূল খেতে চাই না কিন্তু শাক-সবজি ফলমূলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে। 

যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কে দুর্বল করে দেয়। এতে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। অতিরিক্ত চুল পড়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা। তাই আমরা চুলের নিয়মিত যত্ন করব এবং তার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ঠিক রাখবো আমাদের খাওয়া দাওয়া ঠিক থাকলে আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভালো থাকে।সাথে সাথে আমাদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা ও কমে যাবে ।

কি খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়

বিভিন্ন রকমের সবুজ শাকসবজি তে ভিটামিন মিনারেল ও খনিজ এবং এন্টি অক্সিডেন্টের সবচাইতে ভালো উৎস রয়েছে। যেমন, ব্রকলি, বাঁধাকপি ও পালং শাক ইত্যাদি। আরো অনেক শাকসবজি রয়েছে এগুলা খেলে চুল পড়া কমে যায়। এ সকল শাকসবজি প্রতিদিন নিয়মিত খেলে চুলের গোড়া মজবুত করে। 

বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছে ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এ সকল সামুদ্রিক মাছ খেলে বা খেতে পারলে চুল পড়ার সমস্যা কমে যাবে। এ সকল শাক সবজি ও সামুদ্রিক মাছ খেলে চুল পড়া অনেকটা কমে যায়। আমরা চেষ্টা করব এ সকল খাবারগুলো নিয়মিত খাবার তাহলে আমাদের চুল পড়া আস্তে আস্তে কমে যাবে।

প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়

ঘরোয়া অনেক প্রাকৃতিক উপায় আছে যা আমরা অনেকে খুঁজি যে প্রাকৃতিকভাবে চুল পড়া কিভাবে বন্ধ হয় এবং প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়। বিভিন্ন সুষম খাবার খাওয়া চুল পড়া রোধে অনেক সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চুল গজাতেও সাহায্য করে। টক দই একটি সুস্বাদু খাবার যা চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
দইয়ে থাকা খনিজ যা চুলের পুষ্টি যোগায়। যা চুল পড়া রোধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। গাজর একটি মিষ্টি ফল গাজরে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এতে আমাদের ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া যায়। গাজরে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ। যা আমাদের চুল গজাতে সাহায্য করে। আরো অনেক কিছু রয়েছে, যেমন সবুজ শাকসবজি সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি।

ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন

ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে আমরা চুলের যত্ন নিতে পারি। যেমন, এলোভেরা জেল চার চামচ বা আপনারা ঘরে থাকা এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন, ২ চামচ মেথি এক ঘন্টা আগে ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপরে মেথি আর এলোভেরা এক সঙ্গে ব্লেন্ডার করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগাতে হবে এক ঘন্টা পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে এতে চুলের গোড়া মজবুত হয় আর চুল পড়া বন্ধ হয়। 

আরো অনেক উপকরণ রয়েছে।আর একটা উপকরণ হলো, তিন-চারটা পেঁয়াজ বাটা ও একটা ডিম একসঙ্গে ভালোভাবে টি পেস্ট করে মাথায় লাগাতে হবে। শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। এতে চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল অনেক সিল্কি করে চুলের গোড়া মজবুত হয়। অনেক ঘরোয়া উপায় আছে যা চুলের যত্নে অনেক উপকারী।

কত বছর পর্যন্ত চুল গজায়

আমরা স্বাভাবিক ভাবে জানিনা চুল কত দিনে বড় হয় কতদিন পর্যন্ত বড় হয় অনেক কিছু। আমরা জানি স্বাভাবিকভাবে একটি চুল দুই থেকে চার বছর পর্যন্ত বড় হতে থাকে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে চুল একটু তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়। আর শীতকালে চুল বড় হতে অনেক সময় লাগে বা কম বড় হয়। আমরা জানি একটি চুলের গড় আয়ু দুই থেকে আট বছর হয়ে থাকে। আর চুলের যত্নের কারণে অনেক সময় চুল তাড়াতাড়ি বড় হয় কিন্তু অযত্নে চুল তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের সবসময় চুলের ঠিকমত যত্ন নিতে হবে।

মন্তব্য

ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই । এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url