শসা দিয়ে রূপচর্চা - শসা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক শসা দিয়ে রূপচর্চা ও শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য
আপনি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু এর সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না।
স্টেপ বাই স্টেপ শসা দিয়ে রূপচর্চা ও শসা খাওয়ার উপকারিতা জানানোর চেষ্টা
করব। যদি আপনি শসা দিয়ে রূপচর্চা ওশসা খাওয়ার উপকারিতা এবং শসা দিয়ে ফর্সা
হওয়ার উপায় জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন তাহলে
আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রিয় পাঠকএই আর্টিকেলে শুধু শসা দিয়ে রূপচর্চা ওশসা খাওয়ার উপকারিতা এই
বিষয়েই নয় ছাড়াওআরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সে
বিষয়গুলো জানতে চান
চান তাহলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।
পোস্ট সূচীপত্রঃ শসা দিয়ে রূপচর্চা ও শসা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
ভূমিকা
এই আর্টিকেলের মধ্যে শসা লেবুর রস দ্বারা রূপচর্চা, শসা খাওয়ার উপকারিতা,
শশা দিয়ে ফেসিয়াল তৈরি, শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় , ওজন কমাতে শসা খাওয়ার
উপকারিতা , শসা খাওয়ার সঠিক সময় ,শসা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি।
মুখে শসা ব্যবহারের উপকারিতা
শসা দিয়ে রূপচর্চা। শসার উপকারিতা-মুখে শসা ব্যবহারে অনেক উপকারিতা রয়েছে।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয় এমন ত্বকের জন্য শসা উপকারী। যাদের
ত্বক জ্বালাপোড়া করে তারা ত্বকে শসার রস ব্যবহার করতে পারেন এতে
ত্বক ঠান্ডা থাকবে। এছাড়াও তকে আর্দ্রতা যোগান দেয়। সসাই ৯৬ শতাংশ পানি
রয়েছে।
শসা দিয়ে ফেসিয়াল
শসা দিয়ে রূপচর্চা ।শসা দিয়ে ফেসিয়াল তৈরি। এক চা চামচ শসার পেস্ট ও তিন ফোঁটা
মধু তিন , সাথে তিনচার ফোঁটা লেবুর রস এবং এক চা চামচ বেসন নিয়ে সবগুলো একসাথে
মিশিয়ে নিতে হবে মেশানো হয়ে গেলে এবার চক্ষু ব্যতীত ত্বকের সব জায়গায় আস্তে
আস্তে মেসেজ করে লাগিয়ে দিন। পনেরো, বিশ মিনিট রেখে এর পর ঠান্ডা পানিতে মুখ
ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার ত্বক কোমল ,নরম থাকবে ,মুখের ময়লা দূর করবে এবং ত্বক
উজ্জ্বল করে ওঠাবে।
মুখে শসা ব্যবহারের নিয়ম
ব্যবহার বিধিঃশসা দিয়ে রূপচর্চা মুখেকালো দাগ পড়লে কচি শসার রস সাথে দুই
তিন ফোটা লেবু একসাথে মিশিয়ে গোসলের এক ঘন্টা পূর্বে মুখে লাগিয়ে ১৫ বা ২০
মিনিট রেখে দিন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন দেখবেন কিছুদিনের
মধ্যেই দাগ দূর হয়ে গিয়েছে দাগ।
শশা কচি শসা টুকরো টুকরো করে কেটে নিন, এরপরে মাখন বাদামের তেল , সাথে মিশিয়ে
মুখে লাগান ১৫ মিনিট রেখে দিন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এতে মুখে মসৃণ
ভাব নিয়ে আসবে , তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।
শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
শসা দিয়ে রূপচর্চা ।শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়- তিন চা চামচ শসার রস দুই চা
চামচ মুলতানি মাটি দিয়ে একটা ফেসপ্যাক তৈরি করুন। ফেসপ্যাক হয়ে গেলে মুখে
লাগিয়ে নিন এরপর ১৫-২০ মিনিট রাখুন এর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন
এভাবে নিয়মিত এক মাস ব্যবহার করুন এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল, ফর্সা , দাকহীন
আকর্ষণীয় করে তুলবে।
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
শসা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি তুলে ধরা হলো
- ভিটামিনের শূন্যতা দূর করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- শরীরের অবাঞ্চিত চর্বি দূর করতে সহায়তা করে।
- হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা ক...
- যাদের চক্ষুর সমস্যা চক্ষুর জ্যোতি বাড়াই।
- শরীরে বিষাক্ত পদার্থ বর্জ্য শরীর থেকে বের করে দিন।
- শরীরের পানি শূন্যতার অভাব দূর করে।
- মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
- কিডনির সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
অপকারিতাঃ শুধু শসা খেয়ে শরীর ওজন কমাতে চাই অন্য কিছু খাই না।তারা
একমাত্রই শশাকেই ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে তাদের জন্য শসা উপকারের বদলে
অপকার হয়ে দাঁড়ায়।
খালিপেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে খালি পেটে শসা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে কেউ যদি খালি পেটে শসার
জুস বা শসার সালাদ বা শসার পানি পান করে তাহলে তার শরীর হাইট্রেড থাকে অর্থাৎ
শরীর ক্লান্ত ভাব দূর হয়ে যায় শরীর সতেজ থাকে। এটিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও
বাড়াই। এছাড়াও খালি পেটে শশা গেলে শরীরে ওজন কমে যায়।
ওজন কমাতে শসার উপকারিতা
শসা খাওয়ার উপকারিতা ।শসা ওজন কমাতে অধিক পরিমাণে সহায়তা করে শরীরের মধ্যে যে ,
চর্বি রয়েছে সে চর্বিগুলো শসা খাওয়ার দ্বারা কেটে যায় ।চর্বি কাটতে কাটতে
শরীরের ওজন কমতে থাকে কেউ যদি নিয়মিত শসার সালাদ খেতে থাকে তাহলে তার শরীর
হ্যান্ডসাম হয়ে যাবে ।তার শরীরে কোন অবাঞ্চিত চর্বি থাকবেনা।
শসা খাওয়ার সঠিক সময
শসা খাওয়ার অনেক নিয়ম রয়েছে আমরা ভাতের সাথে সালাত হিসেবে খেতে পারি, এছাড়াও
খালি খালি শসা আমরা খেতে পারি। কাঁচা বা পাকা শসা তরকারি রান্না করে আমরা ভাতের
সাথে বা রুটির সাথে খেতে পারি । এতে শরীর ঠান্ডা থাকে , গ্যাস্ট্রিক থেকে বেঁচে
থাকা যায় এছাড়াও যেকোনো সময় আমরা শসা খেতে পারি।
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
শেষ কথা
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেনশসা দিয়ে রূপচর্চা ও শসা খাওয়ার
উপকারিতা, শসা ব্যবহারের নিয়ম, শসা খাওয়ার নিয়ম, গর্ভবতী মা খেলে কি
উপকার পাবে।যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন নতুন
নতুন আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।