কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি সমস্যা হয় জেনে নিন
প্রিয় পাঠক ,আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি সমস্যা হয় এ বিষয়ে জানতে আপনি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন। কিন্তু কোথাও এর সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না আমি স্টেপ বাই স্টেপ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় বিষয়ে আলোচনা করব। যদি আপনি কাঙ্খিত বিষয়ে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় বিষয়েই লিখা হয় নাই আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। এ পয়েন্টগুলো যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি সমস্যা হয় জেনে নিন
- ভূমিকা
- কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষণ
- কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয়
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবজি
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধের নাম
- ওজন কমানোর খাবার তালিকা
- মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
- লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়.
- শেষ কথা
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়,কোষ্ঠকাঠিন্যর লক্ষণ, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি সমস্যা হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয় কি বর্জনীয় কি ,কোন খাবার খেতে হবে, কোন খাবার খেলে ক্ষতি হবে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে পড়লে আপনারা এ সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারবেন।তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষণ
কোষ্ঠকাঠিন্যর লক্ষণ-কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সচারচার যে লক্ষণগুলো দৃষ্টিগোচর হয় সেগুলো হল মল শক্ত হয়ে যাওয়া, মলদার ব্যথা করা , মল ত্যাগের সময় চাপের দরকার হওয়া , মলদার ব্যথা করা , তলপে ব্যথা করা , মলত্যাগ অসম্পূর্ণ হওয়া , মালদার আশপাশ ব্যথা করা
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয়
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো
- মাথা ব্যথা ও শরীর দুর্বল হয়ে পড়া
- ঘুমাতে গেলে ঘুম না আসা
- মুখে খাওয়ার প্রতি রুচি না থাকা
- ভাজাপোড়া খাওয়ার প্রতি অধিক টান হওয়া।
- শরীরে ক্লান্তি ভাব অনুভব হওয়া।
- চোখ সবসময়ই ব্যথা অনুভব হওয়া।
- চোখের নিচে দুপাশ দিয়ে কালো দাগ পড়ে যাওয়া।
- হীনমন্যতা রোগে ভোগা।
- সব সময় অশান্তি অশান্তি ভাব মনে বিরাজ করা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবজি
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের সমস্যা দূর করতে আঁশযুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই আর এই আশ যুক্ত খাবার গুলো সবচেয়ে ভালো উৎস হল সবজি। এই সবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকে যে ,আঁশটা মানুষের পেটে গিয়ে খাবার গুলো পাকিয়ে মলকে নরম করে শরীরের বর্জ্য পদার্থ মালদার দিয়ে বের করে দেয় ।
তাই আমাদের খাবার তালিকায় অবশ্যই সবজি রাখা অতীব জরুরী সবজির মধ্যে পেঁপে , লাউ , লাল শাক ,পালং, শাক ,সবুজ শাক , ঢেঁড়স রাখতে পারি। এই সবজি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে আমরা খাবার তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আশ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারি। এ ধরনের খাবার মলকে নরম করে করতে সহায়তা করে। আরো আমরা খাবার তালিকায় রাখতে পারি চিয়া সিড এতে আশের উপাদান রয়েছে , দুধের গুণাগুণ রয়েছে , যা মলকে নরম করতে সহায়তা করে। এছাড়াও চাল ,আটা , ডাল , বাদাম , ফলমূল এগুলো মলকে নরম করতে সহায়তা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত হাটা , জগিং করা , সাঁতার কাটা , ফ্রি হ্যান্ড নিকেশন ব্যায়াম করা , ২০ বার বেলিমারা, ৩০ বার বুকডাউন দেওয়া , যোগাসন করা , সুস্থ থাকতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই ব্যায়াম প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অতিব জরুরী ।
- শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম আমাদের নিয়মিত করতে হবে এতে কষ্ট কাঠিন্যর সমস্যা ওষুধ ছাড়াই দূর হয়ে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা যখন দূর হয়ে যাবে, ওই সময় আমাদের মন মেজাজ ভালো থাকবে যেকোনো কাজ করে প্রশান্তি পাব।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধের নাম
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার মহা ঔষধ ইসুবগুলের ভুষি ইসবগুলের ভুষির মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পায়খানাকে নরম করে শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
এই ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম দিনের দুইবার খেতে পারেন এক গ্লাস পানির মধ্যে দুই চা চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে নিন। দেখবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা একেবারেই দূর হয়ে গিয়েছে।
ওজন কমানোর খাবার তালিকা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাবারের প্রতি এবং ব্যায়ামের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে খাবার খেতে হবে ভিটামিনযুক্ত যাতে করে ,শরীর দুর্বল না হয় ও খাবারের ঘাটতি ও পূরণ হয়।
সকালের নাস্তাঃ এক মগ গ্রিন টি চিনি ছাড়া ,খাবার তালিকায় সকালে ২ টি কলা বা একটি আপেল খেতে পারেন দশটার দিকে কয়েক পিস কিসমিস দুই পিস খেজুর খেতে পারেন।
দুপুরের খাবারঃ এক কাপ ভাত বা এক পিস রুটি সাথে দুই কাপ পরিমাণ সবজি , শসা বা টমেটোর সালাদ।
বিকালের নাস্তাঃ একটি পেয়ারা বা বা সিজিনাল ফল এক পিচ ,সাথে চিনি ছাড়া গ্রিন টি
রাতের খাবারঃ বাটারে ভাজা ৫০ গ্রাম চিনা বাদাম এক পিচ রুটি , এক কাপ সবজি। এভাবে যদি আমরা খেতে পারি তাহলে আমাদের এই খাবার ওজন কমাতে সহায়তা করবে
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমাতে
- নিয়মিত গ্রিন টি চিনি ছাড়া সকালে এক মগ করে পান করুন
- খাবার তালিকায় আশ যুক্ত খাবার বেশি রাখুন
- খাবার তালিকায় ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি রাখার চেষ্টা করুন
- প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটুন সাথে ফ্রি হ্যান্ডে ব্যায়াম করুন
- সবজি ও ফল বেশি পরিমাণে খান
- ভাত এবং রুটি এই জাতীয় খাবার একেবারেই কমিয়ে দিন
- বাটার দিয়ে সবজি রান্না করে খান
- রোজা রাখার অভ্যাস করুন
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
কেউ যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির মধ্যে একটি লেবু চিপে দেয় এবং সেই পানিটাপান করে তাহলে তার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে। কিছুদিনের মধ্যে তার ওজন আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। এই জন্য লেবু খাওয়ার অভ্যাস বড়ুণ, শরীর সুস্থ থাকবে , মন ভালো থাকবে।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়,কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কিভাবে দূর হবে , কোন খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য উপকার হবে, কি খাবারে ক্ষতি হবে। আপনার যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে যারা এ বিষয়ে জানেনা দয়া করে তাদের কাছে শেয়ার করুন আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতেএই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।