অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনি অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ এ ব্যাপারে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু এর কোথাও সদর খুঁজে পাচ্ছেন না ।আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব। যদি আপনি বিস্তারিত ভাবে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়তে থাকুন। আশা করি আপনার প্রশ্নের সদুত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধুমাত্র অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই। এছাড়া ও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।যদি আপনি বিস্তারিতভাবে বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণটা খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ জেনে নিন
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ, অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে করণীয় ,দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় , মাসিক বন্ধ হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে , দুই মাস মাসিক না না হওয়ার কারণ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ
মেয়েদের বিভিন্ন কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে মেয়েদের মাসিক ঠিকমতো না হলে এদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা যে বাচ্চা গর্ভ ধারণের ব্যাপারে তাদের বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই আসুন জেনে নেই যে কোন কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যাই।
কারণ সমূহঃমেয়েদের শরীরের স্টেজ কমে গেলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে,শরীরের খুব বেশি ওজন বেড়ে গেলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে , বা শরীরের ওজন খুব বেশি কমে গেলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, অনিয়মিতভাবে খাবার খেলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে ।
যাদের শরীরে থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে এ থাইরয়েডের সমস্যার কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।মানসিক প্রেসারের কারণে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, অতিরিক্ত শরীর-চর্চার কারণে অর্থাৎ যে সমস্ত মেয়েরা নিজের ফিটনেস কে ঠিক রাখার জন্য অতিরিক্ত শরীর চর্চা করে।এঅতিরিক্ত চরাচরের কারণে শরীর চর্চা করার কারণে অবিবাহিতমেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে করণীয়
মেয়েদের যদি মাসিক নিয়মিত হয়ে থাকে! কিন্তু দেখা গেল হঠাৎ করে তার নিয়ম ঠিক নেই। তাহলে এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নাই ।ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা করতে হবে যদি ঘরোয়া উপায়ে না ঠিক হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে ।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো।
- আদা-অনিয়মিত মাসিক দূর করে নিয়মিত মাসিক করতে আদা একটি খুবই উপকারী ভেষজ । এক কাপ পানির মধ্যে এক বা দুই চা চামচ আদা কুচি গরম পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে সাথে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে সাথে লেবু চিপে নিতে হবে এবং এক দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে পান করতে হবে ।এতে মাসিক নিয়মিত হবে।
- অ্যালোভেরার- অ্যালোভেরার মধ্যে অনেক ভিটামিন রয়েছে শরীরের ঘাটতি দূর করে । নিয়মিত মাসিক হতে সহায়তা করে।
- কাঁচা বা পাকা পেপে-কাঁচা পেঁপের জুস করে খেলে নিয়মিত মাসিক হতে সহায়তা করবে কিন্তু পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে কাঁচা পেঁপের জুস খাবেন না। এবং প্রচুর পরিমাণে পাকা পেঁপে খেতে পারেন এটি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং পিরিয়ড নিয়মিত হতে সহায়তা করবে।
- টক জাতীয় ফল- যেই ফলের মধ্যে বেশি টক রয়েছে যেমন-যেমন তেতুল মাল্টা লেবু জাতীয় খাবার ফল খেলেও মাসিক নিয়মিত হয়।
- তিল-তিলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা শরীরের পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে। তিলএকটি পুষ্টিকর খাদ্য যা শরীরের ঘাটতি পূরণ করে এবং এতে নিয়মিত মাসিক হতে সহায়তা করে।
- স্বাস্থ্যকর পরিবেশ-মেয়েদের এমন পরিবেশে বসবাস করা উচিত যা, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। যেখানে আলো বাতাসের অভাব না থাকে, দূষণমুক্ত বাতাস থাকে, নোংরা পরিবেশ না থাকে । পরিবেশ, নিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার উপর একটি বহুৎ বড় প্রভাব ফেলে। অতএব আমাদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করা উচিত।
দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
মেয়েদের মাসিক ঠিকমত না হলে বাচ্চা ধরনেরক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য আমরা জেনে নিই দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়।সময়মতো মাসিক হওয়ার জন্য প্রতিদিন এক বা দুই চা চামচ ভিনিগার এক গ্লাস পানির মধ্যে মিশিয়ে খাবার খাওয়ারপূর্বে খেতে পারেন । এতে আপনার বিলম্বে মাসিক হওয়ার সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। এক গ্লাস পানির মধ্যে কিছু আদা বেটে সে পানিটা গরম করে নিতে হবে সাথে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে সেই পানি পান করলে, মাসিকের সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে।
অনভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে এমন কিছু ওষুধ পত্র ব্যবহার করা হয় যে ওষুধগুলো খাওয়ার কারণে পিরিয়ডের সমস্যা আরও বেশি অনিয়মিত হয়ে যায় এবং সে রোগী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবংএর এফেক্ট সবার মধ্যে পড়ে। অতএব এমন কোন অনভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেননা যার কারণে আপনার মাসিক পিরিয়ড দ্রুত হওয়ার পরিবর্তে দেরিতে হয়ে থাকে। অতএব সাবধান ডাক্তার দেখাতে চাইলে ভালো ডাক্তার দেখান।
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
যে সমস্ত মেয়েরা নতুন বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন সবাই ভাবে সকলের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে , নারীদের মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।চলুন আমরা এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিই। প্রতিটা মেয়েদেরকেই পিরিয়ড সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া উচিত ।কারণ মেয়েদের পিরিয়ড না হলে তারা মা হতে পারে না ।একটি মেয়ে যখন বিবাহ করে বিবাহের পরে স্বামী স্ত্রীর যৌন মিলন হয়।
স্বামীর শুক্রাণু নারীর যোনি পথে ইউটিউবে ডিম্বাণুর সাথে মিশ্রিত হয়। এই শুক্রাণু ডিম্বানুর সাথে মিশ্রিত হওয়ার অর্থই হচ্ছে এই নারী এখন গর্ভধারণ করেছে। অতএব উপর উল্লেখিত কথা বলার দ্বারা বুঝা যায় যে, যখন থেকে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছে সে এখন বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত তার পিরিয়ড বন্ধ থাকবে।
দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ
মেয়েদের নিয়মিত মাসিক না হওয়ার বেশ কিছু কারণ হতে পারে। এমন কোন অসুস্থ যে অসুস্থতার কারণে জরায়ু থেকে বর্জ্য রক্ত বেরিয়ে আসবে তাতে বাধা গ্রস্ত হচ্ছে অর্থাৎ জরায়ু পথেটিউমার হয়েছে । এই টিউমারের কারণে স্বাভাবিক নিয়মিত পিরিয়ড হচ্ছে না।
- ওজন-শরীরের অতিরিক্ত ওজনবৃদ্ধি হওয়ার কারণে নিয়মিত পিরিয়ড না হতে পারে।
- ওই সমস্ত মা যারা নিজের সন্তানকে নিজের বুকের দুধ পান করান তাদের বাচ্চা বেশিদুধ পান করার কারণে শরীর যদি দুর্বল হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।
- জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি-জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মাধ্যমে যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন ইনজেকশন বিভিন্ন বড়ি সেবন করে। এসব ক্ষেত্রেও অনেক সময় পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।
শেষ কথা
আপনি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে, অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার। যদি আপনার কাছে এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে যারা এ বিষয়ে জানেনা তাদের কাছে দয়া করে শেয়ার করে দিন ।আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।