ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আপনি ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও এর সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিতভাবেজানানোর চেষ্টা করব । যদি আপনি ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা ও হাঁসের ডিমের উপকারিতা বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন । আশা করি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ।
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে শুধু আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সে পয়েন্টগুলো যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আপনি অনেক কিছু বিষয় জানতে পারবেন ।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
ভূমিকা
এ আর্টিকেলে ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা ,সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা , মুরগি ডিম খেলে কি উপকার পাওয়া যায় , ডিম দ্বারা চুলের যত্ন নিলে ভালো ফল পাওয়া যায় , দেশি ডিমের উপকারিতা , হাঁস এবং মুরগির ডিমের উপকারিতা, কতগুলো ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া উচিত , এই আর্টিকেলে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি খুব মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।
সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
আমরা জানি ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যা ছোট বড় সকলের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই রোজ সকালে একটি করে সেদ্ধ ডিম খেলে যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তাদের চুল পড়া কমে যায়। সেদ্ধ ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই যা আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে অনেক সাহায্য করে। এবং চুলের গোড়ায় গোড়ায় পুষ্টির যোগান দেয়। আর ডিমের প্রোটিনের কারণে চুল অনেক ঝলমলে এবং সুন্দর হয়ে থাকে।
প্রতিদিন সেদ্ধ ডিম খেলে ছোট বড় সকলেরই দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। কারণ সিদ্ধ ডিমের রয়েছে জিয়াক্সেনথিনএবং লুয়েটিন নামক দুইটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকারক বেগুনি রশ্মী থেকে আমাদের চোখকে রক্ষা করে। এবং রেটিনার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তা বেশি থাকলে আমাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন, চোখে অবছা দেখা, সানি পরা বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
হাঁসের ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে আমাদের শরীরের পুষ্টি যোগায় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । কারণ হাঁসের ডিম রিবোফ্লাভিন সমৃদ্ধ যেটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় আকারে একটু বড় হয় তাই হাঁসের ডিমের পুষ্টি ও বেশি থাকে।
হাঁসের ডিম এ রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ,জিংক ও এগুলো আমাদের শরীরের উক্তি জগাই ও ক ক্লান্তি দূর করতে অনেক সাহায্য করে। আমাদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে ঘাসের ডিমে সে চর্বি গুলোকে নষ্ট করে দেয়। যেমন,পেশার যদি লো হয়ে যায় ,তাহলে সাথে সাথে একটা হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে খাওয়ালে প্রেসার অনেক তাড়াতাড়ি উঠে যায়।
হাঁসের ডিমে অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে যে ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের ঘাটতি দূর করে শরীর সতেজে রাখে বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে। সকল । যেমন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।এবং ডিমে যে সকল ভিটামিন রয়েছে তা আমাদের স্কিনের জন্য অনেক ভালো ,যা আমাদের স্কিন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
মুরগির ডিমের উপকারিতা
আমরা জানি হাঁস মুরগি যাই হোক সকল ডিম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী কারণ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। ডিমের যে সাদা অংশটুকু থাকে তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জৈব আমিষ, কুসুমে রয়েছে স্নেহ পদার্থ, লৌহ আর ভিটামিন অনেক পরিমাণে রয়েছে।
ছোট থেকে বড় সব শ্রেণীর মানুষেরই শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে ডিম অত্যন্ত কঠোর ভূমিকা রাখেস। ডিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। নিয়মিত ডিম খেলে বাচ্চাদের অনেক উপকার হয় যেমন দৈহিক বৃদ্ধি, ব্রেন বৃদ্ধি করতে ডিমের ঝুড়ি নেই এবং বাচ্চাদের হাড় শক্ত হতে ডিম অনেক সাহায্য করে।
হাঁসের ডিমের অপকারিতা,
হাঁসের ডিমে যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অনেক ক্ষতিও রয়েছে রয়েছে, হাঁসের ডিম এলার্জি জাতীয় খাবার। যাদের এলার্জি রয়েছে, তাদের জন্য হাঁসের ডিম না খাওয়াই ভালো কারণ হাঁসের ডিম খেলে তাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন চুলকানি বেড়ে যেতে পারে, শ্বাসকষ্ট সমস্যা হতে পারে, গা হাতমুখ সমস্ত শরীর ফুলে যেতে পারে।
যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের হাঁসের ডিম না খাওয়াই ভালো।কারণ যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের ডাক্তার হাঁসের ডিম ,খাওয়া হাঁস খাওয়া এবং এলার্জি জাতীয় সবকিছু নিষেধ করে দেয়। তাই এই অবস্থায় হাঁসের ডিম না খাওয়া ভালো এতে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।হাঁসের ডিমের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে।
ডিমের কোন অংশ চুলে দিতে হয়
আমরা চুল সুন্দর করতে ডিম ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না চুলে কিভাবে ডিম ব্যবহার করলে চুলের উপকার হবে। ডিম ব্যবহার না জানার ফলে আমরা ডিম ব্যবহার করেও চুলের কোন উপকার হয় না।তাই ঠিক মত ডিম ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিয়ে ব্যবহার করা উচিত তাহলে চুলে কোন সমস্যা দেখা দিবে না।
আমরা ডিমের যে অংশটুকু চুলে ব্যবহার করতে পারি, ডিমের ভিতরের যে সাদা অংশ টুকু রয়েছে সেটা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী। যা আমাদের চুল সিল্কি এবং সুন্দর করতে সাহায্য করে। সাদা অংশটি ব্যবহার করার নিয়ম,
একটি ডিমের সাদা অংশ থেকে কুসুম আলাদা করে নিতে হবে। এরপর সাদা অংশটা ভালোভাবে ফেটিয়ে ক্রিমের মত করতে হবে,এরপর এর সঙ্গে আপনারা বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।এভাবে ডিমের সাদা অংশ চুলে ব্যবহার করলে ফলাফল ভালো পাওয়া যায়।
চুলের যত্নে ডিম ও পেঁয়াজ
আমাদের সৌন্দর্যের একটি বড় অবদান হচ্ছে চুল, যাদের চুল নেই তারাই জানে চুল না থাকার মর্ম। তাই আমাদের সবারই চুলের ঠিকমত যত্ন নেওয়া উচিত ,যেন আমাদের চুল নষ্ট না হয়ে যায়। ডিম ও পেঁয়াজ দিয়ে আমরা চুলের যত্ন করতে পারি।পেঁয়াজ আর ডিম চুলের জন্য অনেক উপকারী উপাদান।
কারণ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার, তাই চুলে ডিম ব্যবহার করলে চুলের অনেক উপকার হয়। আমরা যেভাবে ডিম আর পেঁয়াজ চুলে ব্যবহার করব, ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে ক্রিম এর মত করে নিব, এবং এর সঙ্গে তিনটে পেঁয়াজ ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে পেস্ট করে নিতে হবে।
এরপর ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে, ও চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখার পর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুই দিন চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনাদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুল অনেক নরম হবে।
মন্তব্য
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা , দেশি ডিমের উপকারিতা , হাঁসের ডিমের উপকারিতা। যদি আপনার কাছে এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে যারা ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা জানেনা তাদের কাছে দয়া করে শেয়ার করে দিন ।আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।