নিম পাতার উপকারিতা - নিম পাতা ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি নিম পাতার উপকারিতা জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ নিম পাতার উপকারিতা জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি নিম পাতার উপকারিতা ও নিম পাতা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন। 
নিম পাতার উপকারিতা - নিম পাতা ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু নিম পাতার উপকারিতা এবং নিম পাতা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

পোস্ট সূচীপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা - নিম পাতা ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন

ভূমিকা

আমরা জানি নিম পাতার উপকারিতা অনেক রয়েছে। কিন্তু আমরা জানি না নিম পাতা কোন কোন কাজে ব্যবহার হয়। এই পয়েন্টগুলো পড়লে নিমপাতার বিভিন্ন ব্যবহার জানতে পারবেন। কিভাবে চুলকানিতে নিমপাতা ব্যবহার করতে হয় এলার্জিতে নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। সমস্ত আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়লে, নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

চুলকানিতে নিম পাতার উপকারিতা অনেক, এমন একটা রোগ যা মানুষের ঘুম নষ্ট করে দেয়। চুলকানি উঠলে যেন মাথা ঘুরে যায়। তাই আপনারা নিমপাতা দিয়ে খুব সহজেই এই চুলকানি রোগ ভালো করতে পারবেন। আমরা চুলকানিতে যেভাবে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারব।

অনেকগুলো নিমপাতা একসঙ্গে এক পাতিল পানির মধ্যে, ১০-১৫ মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর পানিটা ঠান্ডা হয়ে গেলে। সমস্ত শরীর নিমপাতার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সাত আট দিন ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।
আবার আমরা যেভাবে ব্যবহার করতে পারি, নিম পাতা আর হলুদ একসঙ্গে পেস্ট করে বা পাটায় বেটে। যেখানে যেখানে চুলকানি হয়। সেখানে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। তারপর নিম পাতা আর হলুদ শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

পক্স বা বসন্ত বের হলে এভাবে নিম পাতা ব্যবহার করলে বক্স বা বসন্ত খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। যেই ঘরে রুগী থাকে সেই ঘরের জানালা ও দরজাতে নিম পাতা সহ ডাল রেখে দিতে হবে। এতে বাইরের দূষিত বাতাস ঘরে প্রবেশ করবে না।

নিম পাতা ব্যবহারের নিয়ম

নিম পাতা ব্যবহারের নিয়ম সঠিকভাবে জানলে মুখের ব্রণ ভালো হয়। ব্রণ আমাদের চেহারার সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়। ব্রণ থাকলে আমাদের লোক সমাজে মুখ দেখাতে খারাপ লাগে। কারণ ব্রণ হলে মুখ দেখতে অনেক খারাপ লাগে। তাই ব্রণ ভালো করার জন্য আমরা নিমপাতা ব্যবহার করতে পারি। আমরা যেভাবে নিমপাতা ব্যবহার করব।

নিমের কিছু পাতা ব্লেন্ডার করে রস করে নিতে হবে। সুতির নেকড়ার মধ্যে নিম পাতার পেস্ট দিয়ে ভালোভাবে চেপে চেপে রস বের করে নিতে হবে। এরপর চার থেকে পাঁচ চামচ রস, দুই তিন ফোটালেবুর রস, এক চামচ মধু একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে।সমস্ত ত্বকের ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে।

আধা ঘন্টা পর যখন শুকিয়ে যাবে। ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে সমস্ত মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে নিম পাতার রস ব্যবহার করলে মুখের কালো দাগ, মুখের ব্রণ, ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। কিন্তু এটা নিয়মিত সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করতে হবে। এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে আমরা নিম পাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। যেমন, উকুন হলে নিম পাতা ব্যবহারে উকুন কমে যায়। এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে ও নিম পাতা ব্যবহার করা হয়। আমরা যেভাবে নিম পাতা চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারি।

চুলে উকুন হলে আমরা যেভাবে নিমপাতা ব্যবহার করে থাকি, কিছু নিমপাতা ব্লেন্ডার করে বা পাটায় বেটে রস করে নিতে হবে, তার সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে। ভালোভাবে চুলে ব্যবহার করতে হবে। এক ঘন্টা পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। কিছুদিন ব্যবহার করলে চুলের উকুন কমে যাবে।
চুলের গোড়া মজবুত করতে নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতার রস করে, তার সঙ্গে তিনটা পিয়াস ব্লেন্ডার করে বা পাঠায় বেটে নিমপাতার রসের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে। চুলের গোড়ায় গোড়ায় ব্যবহার করতে হবে। গোসলের সময় ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনাদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

নিম পাতার উপকারিতা

এলার্জি হলে আমাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। কারণ চুলকাতে চুলকাতে অতিষ্ঠ হয়ে যাই। অনেক সময় ওষুধ খাবার পর ও এই এলার্জি ভাল হয় না। নিম পাতার রস এলার্জির জন্য অনেক উপকারী। কারণ যখন, অতিরিক্ত এলার্জি হয়। তখন কিছুতেই এলার্জি ভালো হতে চাই না।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হাফ কাপ নিম পাতার রস খেলে এলার্জি সহ বিভিন্ন রোগ ভালো হয়। যেমন, পেটে কৃমি হলে নিমপাতার রস খেলে কৃমি ভালো হয়ে যায়। নিম পাতার রস খেলে পেট পরিষ্কার থাকে, নিম পাতার রস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়ে যায়। আরো অনেক উপকার হয়ে থাকে।

মুখে নিম পাতার ব্যবহার

আমরা মুখ ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে নিমপাতা ব্যবহার করে থাকি। যেমন, মুখের ব্রণ দূর করতে আমরা নিম পাতার ব্যবহার করে থাকি, মুখে যদি ঘামাচি দেখা দেয় তাহলে নিমপাতার রস করে মুখে ব্যবহার করলে ঘামাচি কমে যায়।

মুখে যদি বসন্ত বের হয় তাহলে মুখের বসন্ত ভালো করতে আমরা নিমপাতা ব্যবহার করে থাকি। নিম পাতার রস করে তার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে যেখানে যেখানে মুখে বসন্ত বের হয়েছে সেখানে সেখানে ব্যবহার করতে হবে। কয়েকদিন ব্যবহারে মুখের বসন্ত ভালো হয়ে যাবে।

আমরা নিম পাতার রস করে তার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে। বরফ জমিয়ে সমস্ত মুখে ব্যবহার করতে পারি। এতে মুখের ব্রণ ভালো হয়ে যায়। আমরা আরো বিভিন্ন উপায়ে নিম পাতা মুখে ব্যবহার করতে পারি। কারণ নিমপাতার উপকারিতা অনেক।

নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম

যে কোন মানুষ যদি নিম পাতার রস সঠিক নিয়মে খেতে পারে। তার শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবে। যেমন, পেট পরিষ্কার থাকবে, রক্ত পরিষ্কার হবে, কৃমি ভালো হয়ে যাবে ইত্যাদি আরো অনেক উপকার হয়ে থাকে।

এখন প্রতিটা মানুষেরই ডায়বেটিকসের সমস্যা রয়েছে, কিন্তু ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সেজন্য, তারা যদি নিয়মিত নিম পাতার রস খায়। তাহলে তাদের ডাইবেটিকস সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এবং আস্তে আস্তে ডায়বেটিকস ভালো হয়ে যাবে।

নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে, হাফ কাপ নিমপাতার রস ও দুই চামচ মধু একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে। এতে নিম পাতার উপকারিতা বেশি হবে। কারণ সঠিক নিয়মে না খেলে কোন রোগী ভালো হয় না।

নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়

কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার উপকারিতা অপরিসীম। তাই রূপচর্চার কাজে কাচা হলুদ ও নিমের পাতার গুরুত্ব ও চাহিদা অনেক। ঘরোয়া যেকোনো প্যাক তৈরিতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ প্রয়োজন হয়। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে মুখের যে উপকার হয়।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে মুখে লাগালে মুখের ব্রণ ভালো হতেও মুখ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। নিম পাতার হলুদ দিনের বেলায় ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ রোদের সময় মুখে হলুদ ব্যবহার করলে, এর উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।

তাই রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে হবে, এবং ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে বা সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে মুখের উজ্জ্বলতা ও ব্রণ ভালো হয়ে যাবে।

মন্তব্য

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। নিম পাতার উপকারিতা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url