কালিজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, কালিজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আপনি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ জানাবো কালিজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে। যদি আপনি কালিজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা রসুন ও কালিজিরার উপকারিতা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর ইনশাআল্লাহ পেয়ে যাবেন।
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু কালিজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই ।এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ কালিজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে কালিজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা , খালি পেটে কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা , রসুন ও কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা , কালিজিরার তেল খাওয়ার উপকারিতা , মধু কালিজিরাও রসুন খাওয়ার নিয়ম ।এ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেছি বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণটাগুরুত্বসহকারে পড়ুন।
খালি পেটে কালোজিরার উপকারিতা
কালিজিরাঃ কালিজিরার উপকারিতা ।কালিজিরাকে মহা ঔষধ বলা । কালি জিরা তরকারির মধ্যে ৫ফরন হিসেবে ব্যবহার হয়।ডালের মধ্যে দিলেও খুব খেতে ভালো লাগে , রুটি দিয়ে খাওয়ার সবজির মধ্যে দিলেও খুব ভালো লাগে,নিমকির মধ্যে কালিজিরা দিল খুব টেস্ট লাগে।যেকোনো ভাজাপড়ার মধ্যে দিলেখুব টেস্ট লাগে যেমন নিমকি ,পাপড়, আলুর চপ , বেগুনি ,সিঙ্গারা ইত্যাদি।
উপকারিতা
উপকারিতা
- কেউ যদি প্রতিদিন ৩-৪ফোঁটা কালিজিরার তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খাই তাহলে সে অনেক রোগ থেকে নিরাপদে থাকবেন
- ডায়াবেটিসের ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কালোজিরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে।
- কালিজিরার মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন ও অনেক ধরনের শক্তিশালী হরমোন যা ক্যান্সার কে কে প্রতিরোধ করে।
- কালজিরা প্রতিটা রোগের রোগ প্রতিশেধক। যারা যৌন রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত কালিজিরা খেলে যৌন রোগের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- যারা হাই প্রেসার এর রোগী তারা নিয়মিত কালিজিরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- বাচ্চা প্রসবকালীন সময়ে বাচ্চার মায়ের দুধ না আসলে কালিজেরা খাওয়ালে দুধ আসে।
- এছাড়াও সর্দি , কাশি , মাথা ব্যথা ,গলা ব্যথা দাঁতের ব্যথা , গ্যাস্ট্রিক , এলার্জি , এজমা , শ্বাসকষ্ট , হাঁপানি কালিজিরা অত্যন্ত উপকারের ওষুধ।
কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
কলিজারার উপকারিতা কালিজিরা সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি যনিত রোগের উপশম করে উপশম করে । যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা যৌন রোগের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত কালিজিরা খান খুব দ্রুত যৌন রোগের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে কালিজিরা একটা অত্যন্ত ফলদায়ক ঔষধ ।
যারা প্রতিদিন সকালে আধা চা চামচ কালিজিরা খেয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিবে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট রোগী কালিজিরার ভর্তা করে ভাতের সাথে খেলে শ্বাসকষ্ট লাঘব হয়।
সর্দি লাগলে কয়েক দানা কালিজিরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ন্যাকড়া বা গামছার এক কোনায় বেঁধে নাকে কালিজিরার শ্বাস গ্রহণ করলে সর্দি দ্রুত পেকে বের হয়েযায় এবং ভালো হয়ে যায়।মাথা ব্যথা হলে চা বানিয়ে চায়ের মধ্যে তিন চার ফোঁটা কালিজিরার তেল এবং সাথে দুই চামচ মধু দিয়ে চা পান করুন মাথা ব্যথা সেরে যাবে।
রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা
রসুন ও কালিজিরাঃ রসুন এমন একটি ঔষধ যাকে প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক বলা হয় ।বুঝতেই পারছেন এটা কেমন ঔষধ, আর এর মধ্যে কেমন ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। রসুন এবং কালিজার মধ্যে সব ধরনের ভিটামিন ও সব ধরনের পুষ্টি গুণ রয়েছে ।যেটা একজন মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য যত গুণ দরকার ,যত ভিটামিন দরকার সবকিছু রসুন এবং কালিজিরার মধ্যে রয়েছে ।
সরাসরি হাদিসের মধ্যে এসেছে ,যে কালিজিরা মৃত ব্যতীত সমস্ত রোগের ঔষধ। ব্লাডপ্রেসার,হার্টঅ্যাটাক, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে রসুন ও কালিজিরা প্রাকৃতিক একটি মহা ঔষধ রসুন দিনে ১ থেকে ২ কুয়া করে ও কালিজিরাআধা চা চামচ পরিমাণ খাওয়া উচিত ।এর চেয়ে বেশি নয়।
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
টানা সাত দিন কালিজিরা খেলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। অর্থাৎ সর্দি-কাশি জ্বরের জন্য যদি আপনি সাত দিন কালিজিরা মধুসহ খেতে থাকেন তাহলে আমরা আশা করি যে আপনার ঠান্ডার যে সমস্যা সাময়িকভাবে হয়েছিল হয়েছিল তা দূর হয়ে যাবে ।আর যদি আপনি নিয়মিত কালিজিরা ,তার সাথে মধু খেতে থাকেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনার ঠান্ডার সমস্যা একেবারেই দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।
এছাড়াও অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন নিয়মিত সকালে একটু কালিজিরা আমরা খেতে পারি । এতে নিজের শরীর সুস্থ থাকবে। নিজের শরীর সুস্থ রাখতে সকলেই চাই যে , সুস্থ সবল শরীর আমার থাক যাতে করে আমি সুন্দর ভাবে চলতে পারি ,বলতে পারি ,কাজকর্ম করতে পারি ,এটা সবারই দিলের তামান্না ও আকাঙ্ক্ষা আল্লাহ সকলকে সুস্থ রাখুক।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালিজিরা গিলে না খেয়ে চিবিয়ে আস্তে আস্তে খেলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। অর্থাৎ এর উপকারিতা বেশি হয় ।চিবিয়ে খেলে কালিজার সাথে লালা মিশ্রিত হয়ে ফেটে যায় ,যার কারণে হজম তাড়াতাড়ি হয় । তাড়াতাড়ি কার্যকারিতা শুরু হয়ে যায়। যেই রোগের কারণে খাচ্ছেন সেই রোগ তাড়াতাড়ি উপশম হয়।
প্রতিটা খাদ্যের ব্যাপারে চিবিয়ে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। মুখের লালার সাথে হজমের শক্তির একটি নিগুর সম্পর্ক রয়েছে.। এবং খাবারের সাথে যখনমুখে লালা মিশ্রিত হয়ে পাকস্থলীতে যায় তখনখুব দ্রুত গতিতে সেই খাবারটা হজম হয়ে যায় অতএব প্রতিটা খাদ্য আমাদের ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া উচিত।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
কালিজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়টাই রয়েছে নিয়ম মত খেলে উপকারিতা রয়েছে ইনশাল্লাহ কিন্তু কালিজিরা খাওয়ার নিয়ম সকালে আমরা খালি পেটে আদা চা চামচ মত কালিজিরা খেতে পারি সাথে মধু মিশিয়ে নিয়েও খেতে পারি এতে অনেক উপকারিতা রয়েছে। অথবা কালিজিরা তেল দুই তিন ফোটা ফোঁটা সাথে 2 চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়।
যদি খালি পেটে কালিজিরা খেলে গ্যাস হয় তাহলে খালি পেটে না খাওয়াই উত্তম । ভরা পেটে কালিজিরার তেল অথবা কালিজিরা খেতে পারেন। এছাড়াও কালিজিরা ভর্তা বানিয়ে ভাতের সাথে খেতে পারেন , তরকারির মধ্যে কালিজারা দিয়ে খেতে পারেন যেকোনো ভাবে কালিজিরা খেলেই উপকার হবে।
কালিজিরার তেলের উপকারিতা
খাঁটি কালিজিরার তেলের উপকারিতা অনেক বেশি। অনেকগুলো কালিজিরা থেকে সামান্য কিছু তেল বের হয় এই তেল যদি খাওয়া হয় কালিজিরার থেকে অনেক গুণ বেশি উপকার হবে এজন্য আমরা দুই চা চামচ মধুর সাথে ২/৩ ফোঁটা কালিজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে খেতে পারি। এতে আমাদের অনেক রোগ থেকে আল্লাহ হেফাজত করবেন।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি কালিজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা ,সকালে খালি পেটে খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি জানতে পেরেছেন এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে যারা এ বিষয়ে জানেনা দয়া করে তাদের কাছে শেয়ার করে দিন ।আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতেএই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।