কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম ভালোভাবে জেনে নিন

 

প্রিয় পাঠক, আপনি কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এবং কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ বিস্তারিত আরো অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের সদুত্তর পেয়ে যাবেন।
কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম ভালোভাবে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এবং কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম ভালোভাবে জেনে নিন 

ভূমিকা

এই আর্টিকেলে কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম, কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ,কবুতরের খাবার দেওয়ার নিয়ম, কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি , কবুতরের বাচ্চা কত দিনে উড়তে পারে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি-বিদেশি অনেক কবুতর পালন করা হয়। কবিতর বেশি রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে হয়ে থাকে।কবিতর পালনের জন্য কবিতরের রোগ এবং চিকিৎসার প্রতি অনেক গুরুত্ব দিতে হয়। কারণ কবুতর অল্পতেই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই কবিতর পালনের জন্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা নিতে হবে, তাছাড়া কবুতর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যেমন, কলেরা, আমাশা,রানীক্ষেত, নিউমোনিয়া ইত্যাদি এ সকল রোগে কবিতর আক্রান্ত হয়ে থাকে।
তাছাড়া তেমন কোন বড় অসুখ কবুতরের কম হয়।কবুতরকে ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে কবিতর পালন করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। কবুতরের অধিক গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া কোনটাই স্যুট করে না। এছাড়া কবুতরের শরীরে পানি এবং খাবারের সঙ্গে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম ভালোভাবে জেনে নিন।
  • ঝিমানো রোগ
  • কলেরা
  • বসন্ত
  • রক্ত আমাশা
  • রক্ত পায়খানা
  • নিমনিয়া
  • ক্যংকার রোগ
  • এসপার জিলোসিস
কবিতরকে অনেক সময় না জেনে ভুলভাল ওষুধ খাইয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কবুতরের মরে যাবার ছুটি থাকে ।তাই যেকোন ওষুধ খাওয়ানোর আগে সেটা কবুতরের জন্য ঠিক কিনা ভালোভাবে জেনে নিবেন। যদি নিজে বুঝতে না পারেন তাহলে পশু ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিবেন। কবুতরের রোগের জন্য যে সকল ওষুধ খাওয়ানো দরকার তা জেনে নিন।
  • রেনামাইসিন ট্যাবলেট এটা ১৫ দিন পর পর খাওয়াতে পারেন
  • এনজাইম
  • অলভিট এমএ, জার্মানি
  • 4 IN 1 মিক্স
  • এপিএসএ বি-কমপ্লেক্স, স্পেন
  • এভিনেক্স
  • ক্যালপ্লেক্স
  • কেমোনিড
  • সিপ্রিল-সমাধান
  • কড লিভার অয়েল
  • কসুমিক্স প্লাস
  • ইলেক্ট্রোমিন
  • এনরোসিন

কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ

কবুতরের ঝিমানো রোগ একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভালো কোন ওষুধ নেই। কবুতরের ঝিমানো রোগ হলে কবুতর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায় এরপর আস্তে আস্তে আরো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবে।

এবং ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রামিত হয়ে যেন না যায় সেজন্য ঔষধ দিতে হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বা ঔষধ দিতে হবে কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ একটি পশু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ানো উচিত। কবুতরের ঘিমান রোগ ভোলে যে সফল ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
  1. ভিটামিন সি
  2. প্যারাসিটামল
  3. স্যালাইন
  4. রেনামাইসিন
  5. এজিথ্রোমাইসি

কবুতরের খাবার দেওয়ার নিয়ম

কবুতরকে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে ,কবুতর তাড়াতাড়ি বড় হবার জন্য কবুতরের খাবারের দিকে সঠিকভাবে খেয়াল রাখতে হবে। কবিতর কে ঠিক মত খাবার খেতে না দিলে কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। কবুতরের বয়স অনুযায়ী খাবার প্রদান করতে হবে, যেমন বয়সের কবুতর তেমন পরিমাণ খাবার দিতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক কবুতর গুলাকে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৫৫ গ্রাম পর্যন্ত খাবার দেওয়া যাবে। এবং বয়স অনুপাতে কম বেশি করে খাওয়াবেন। শহরের মানুষেরা কবিতর পালন করলে বিভিন্ন বাইরের খাবার কিনে এনে কবুতরকে খাওয়াই ।
আর গ্রামের মানুষেরা যে সকল খাদ্য কবুতরকে দেয় ধান, গম, ভুট্টা, চাউল, খুদ, ইত্যাদি এ সকল খাদ্য দিয়ে থাকে। কবিতরকে খাদ্য দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে। খাদ্যে যেন ভিটামিন এবং পুষ্টির পরিমাণ থাকে কবুতরের খাবারে ভিটামিন এবং পুষ্টি না থাকলে কবিতর সঠিকভাবে বাড়তে পারে না। এবং কবুতরের খাবার খাওয়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন যেই পাত্রে খাবার প্রদান করবেন সেই পাত্র যেন জীবাণুমুক্ত থাকে। যদি খাবারের মধ্যে জীবাণু মিশে যায় তা কবিতরের শরীরে প্রবেশ করবে এতে কবিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবে।

কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি

কবুতরের বাচ্চা পালনের পদ্ধতি ভালোভাবে জেনে নিন, মা কবুতর ডিম দেওয়ার পর ১৯ থেকে ২০ দিন পরে বাচ্চা ফুটে। অনেক সময় দেখা যায় ডিম ফেটে বাচ্চা বের হতে পারেনা। তখন খেয়াল করে দেখবেন যে বাচ্চা বের হয়েছে নাকি যদি বাচ্চা বের না হয়, তাহলে হালকা ডিমটা ফাটিয়ে আস্তে করে বাচ্চা বের করে দিবেন। আর যদি ডিমের মধ্যে রক্ত দেখা যায় তাহলে ওই ভাবেই রেখে দিবেন এবং পরের দিন বাচ্চা বের করবে। এবং বাচ্চা যেখানে থাকবে সেই জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

বাচ্চার চার দিন হয়ে যাবার পর বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।বাচ্চা ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা মা কবুতর বাচ্চাকে ঠিকমতো খাওয়াচ্ছে কিনা ,যদি মা কবুতর ঠিক মত বাচ্চাকে না খাওয়াই তাহলে বাচ্চার খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে।আবার অনেক সময় কবুতরের পায়ের তলায় বাচ্চা পড়ে মারা না যায়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন বাচ্চার ওজন ঠিকঠাক থাকে আর যদি বাচ্চার ওজন ঠিকঠাক না থাকে তাহলে বাচ্চার খাবার ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না। এবং বাচ্চা যেই পাত্রে খাবার খাবে সেই পাত্র যেন পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত থাকে না হলে বাচ্চা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বে।

কবুতরের বাচ্চা কত দিনে উড়তে পারে

কবুতরের বাচ্চার খাবার ঠিকঠাক থাকলে এবং কবুতর যদি কোন রোগে আক্রান্ত না হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি উঠতে পারে। এবং শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি পাখনা শক্ত হয় এতে তাড়াতাড়ি ওর আর শক্তি পায়। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পাশ থেকে ছয় দিন পর বাচ্চার চোখ খুলতে পারে। 
তারপর আস্তে আস্তে শরীরে পালক গজায়। এভাবে প্রায় ২০ থেকে ২১ দিন পর দুইটা ডানা ও লেজ বড় হয় এবং ঠোঁট শক্ত হয়। এভাবে ২৮ থেকে ২৯ দিন দিন পর বাচ্চার শরীর পূর্ণতা লাভ করে। এবং এর কিছুদিন পর থেকে বাচ্চা আস্তে আস্তে ওড়ার চেষ্টা করে কিছুদিন যাবার পর বাচ্চা পরিপূর্ণভাবে উঠতে পারে।

শেষ কথা

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url