জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে জেনে নিন জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনি জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে জানার জন্য অনেক জায়গায়
খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও এর সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না । আমি আপনাকে স্টেপ
বাই স্টেপ জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে জানানোর চেষ্টা করব। যদি আপনি জমি
খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে ও জমি খারিজ করতে কতদিন সময় লাগে বিস্তারিত জানতে
চান। তাহলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন আশা করি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে
যাবেন।
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে এ বিষয় নিয়েই
আলোচনা করা হয় নাই .এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । যদি
আপনি সেই বিষয়গুলো স বিস্তারে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ ও গুরুত্ব
সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে জেনে নিন
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে আলোচনা করা হয়েছে। কারণ কাগজ
ঠিক না থাকলে জমি খারিজ হবে না। ফরম পূরণের যুক্তি করন যে কাগজগুলো রয়েছে
তা আমাদের অবশ্যই সাবমিট করতে হবে অন্যথায় জমি নামজারি হবে না ।এ বিষয়
নিয়েই এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে বিস্তারিত পড়ুন।
জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে
ফরম নিখুঁতভাবে অর্থাৎ নির্ভুলভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে ফলে
নামধারী আবেদন নিষ্পত্তি সহজতর হয়ে থাকে। এই ফরমে বিভিন্ন ভুল বা তথ্যের ঝামেলার
কারণে খারিজ না মঞ্জুর হয়ে থাকে । খারিজের আবেদনকারী কে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া
হলো যে ভালো ভাবে বুঝে শুনে সব তথ্য নিয়ে সঠিকভাবে এই ফর্মটি পূরণ করার
জন্য অনুরোধ করা হলো।
নাম্বারঃ খারিজের আবেদন সর্বশেষ যে জরিপ রেকর্ড রয়েছে সেই রেকর্ডের
ভিত্তিতেই খারিজ হবে। আপনাকে আপনার এলাকার এস এ/এমআরএস , সিএস/আরএস/বিএস মহানগর ,
দিয়ারা যা প্রযোজ্য জরিপটি সিলেক্ট করতে হবে। এ বিষয়গুলো আপনি আগেই নিশ্চিত
হয়ে সিলেক্ট করবেন ।
আবেদনকারীকে ফরম পূরণের সময় নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ সম্পূর্ণ কম্পিউটারের
টাইপ করতে হবে।
আবেদনকারীকে যদি আপনি দলিল সূত্রের মালিক হন তাহলে দলিল নাম্বার ।যে
তারিখে দলিল করেছেন সেই দলিলের তারিখ এবং রেজিস্ট্রি অফিসের নাম।
খতিয়ানের মধ্যে রেকডিও মালিকের বা একাধিক মালিক থাকলে মালিকগণের নাম।
পিতা বা স্বামীর নাম পরিপূর্ণ ঠিকানা।
খারিজের আবেদনকারীর নাম ও পরিপূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার ও জাতীয় পরিচয় পত্র
নাম্বার (ততভাবে জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট নাম্বার) ইমেইল এড্রেস
জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে সেগুলো সংযুক্ত করুন কোনো কাগজ ছুটে গেল
কিনা খেয়াল করুন।
- যদি জমি খারিজ আবেদনকারী কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান, বা সংস্থা হয়ে থাকে ,তাহলে প্রতিনিধির এন আইডি নাম্বার, প্রতিনিধির নাম, ফোন তারিখ , জন্ম তারিখ ,পদবি।
- আবেদনকারী যদি যেকোনো মূলধন কোম্পানি ও ফার্ম হয় অর্থাৎ অধিদপ্তর (আর জি এস সি )এর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানের নাম , সে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির নাম , সেই প্রতিনিধির এনআইডি নাম্বার ,মোবাইল নাম্বার , প্রতিনিধি জন্ম তারিখ ,রেজিস্ট্রেশন নাম্বার্পরিপূর্ণ ঠিকানা।
- নাম জারি আবেদনকারী(আর জে এস সি) নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান না হয়ে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের নাম , প্রতিনিধির নাম , জন্ম তারিখ , প্রতিনিধি এনআইডি নাম্বার , মোবাইল নাম্বার ও পদবী।
- যাদের যাদের নাম হতে কেটে নতুন নাম জারিতে দেওয়া হবে তাদের ,এবং যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নোটিশ দিতে হবে ।সকলের নাম এবং পুরনো ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার।
- জমিদাতা ব্যক্তি বা জমিদাতা মারা গেলে ওয়ারিশ এবং দাতা যদি কোন প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানের নাম , প্রতিনিধির নাম, প্রতিনিধির এন আইডি নাম্বার ,মোবাইল নাম্বার , জন্ম তারিখ পদবী ,(আর জে এস সি )নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রাজিস্টেশন নাম্বার ,তারিখ উপজেলা ও ঠিকানা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরোক্ত যে সমস্ত তথ্য দেওয়া হল এগুলো আপনি যে
সময় আবেদন করবেন সে সময় ভুলে যেতে পারেন এজন্য আগে থেকেই আপনার ল্যাপটপ বা
ডেস্কট প্রভাবে সুন্দরভাবে লিখে ফাইল করে রাখুন ।যখন আপনার দরকার হবে কপি করে
পেস্ট করে দেবেন।
জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে খেয়াল করে দিন
যে আবেদন ফরমটি রয়েছে আবেদন ফরম পূরণের সময় আপনাকে আবেদনকারী বা আবেদন
কারিগনের প্রত্যেকের যদি আবেদনকারী নিজে না হয়ে প্রতিনিধি হলে প্রত্যেকের এক কবি
পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ছবির অপজিটে নিজের নাম ও নিজ নিজ স্বাক্ষর, এন আই ডি
কার্ডের ফটোকপি/পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
আবেদনকারী নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হলে নিবন্ধন সনদ ।উত্তর অধিকার সুতরে
নামজারি হলে উত্তরাধিকার সনদপত্র ,সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদের দাখিলা
প্রভৃতি স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে ।
pdf প্রতিটি ফাইল এর সাইজ অবশ্যই1.25 এম্বি এর মধ্যে হতে হবে সবগুলি
ফাইল মিলিয়ে ২৫ এম বি এর মধ্যে হতে হবে। তুই সবমিলিয়ে ২৫ এমবির বেশি হয়।
https://www.pdf2go.com/resize-pdf বাhttps://www.pdf2go.com/resize-pdf
অথবা অনলাইন টুলস দিয়েও পিডিএফ ফাইলে সাইজ কমিয়ে নেওয়া যায় ।
ক্রয় সূত্রে আবেদনের সময় মৌজা নির্ধারণ নির্ধারণ করে আবেদনকারী কে
একটি অঙ্গীকার করতে হবে । যদি তথ্য প্রদানে অসত্য প্রমাণ হয় তাহলে যে কোন শাস্তি
নিতে বাধ্য থাকিবে। অবদানকারীকে সত্য ঘোষণা করিতে হইবে।
সর্বশেষ রেকর্ড সর্বশেষ নাম জারি হতে জমির যে মালিক সে মালিকানার ধারা
জারি আছে কিনা অর্থাৎ মধ্যবর্তী যে কয়েকজন মালিক হয়েছিল তাদের প্রমাণপত্র/বায়া
দলিল আছে কিনা
আবেদনকারীর দলিল মূলে মালিকানা দাবি এবং এবং তার অংশ ঠিক আছে কিনা।
জমির মালিকের কাছে জমি দখলে আছে কিনা ।যদি জমি দখল না থাকে তাহলে একটি
ব্যাখ্যা আবেদনের সাথে প্রদান করতে হবে।
ক্রয়কৃত জমির সাথে আংশিক খাস জমি আছে কিনা। যদি থাকে চিহ্নিত করে দিতে
হবে এবং ইনফরমেশন যুক্ত করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
বাংলা রচনা প্রতিভা সহজ সুন্দর ভাবে জেনে নিন
জমিতে সরকারি কোন স্বার্থ আছে কিনা ।থাকলে কোন ধরনের স্বার্থ আছে তার
নির্ণয় করে জানাতে হবে। অর্থাৎ খাস/অর্পিত/ বিনিময়/অধিগ্রহণকৃত আবেদনকৃত জমির
বাইরে হলে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।
সর্বশেষ অর্থ বছর পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ আছে কিনা যদি ভূমি
উন্নয়ন কর পরিষদ না থাকে তাহলে আবেদনকারী ধারাবাহিকভাবে পরিশোধ করবেন এ মর্মে
ঘোষণা দিতে হবে।
আবেদনে বর্ণিত তফশীল যদি কোন বিল্ডিং এপার্টমেন্টের হয়ে থাকে এবং সেখানে
স্পেস বা ফ্লোর থাকে তাহলে অ্যাপার্টমেন্ট নাম্বার অবশ্যই দিতে হবে যদি শুধু জমি
থাকে তাহলে নাম্বার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
খারিজের আবেদনকারী আবেদনকারী গণের এই মোজাই বর্তমান কোন খতিয়ান আছে
কিনা যদি থাকে তাহলে হা বলে খতিয়ান নাম্বার এন্ট্রি করতে হবে। দুটি খতিয়ানের
মাঝে কমা বা সেমিকোলন ব্যবহার করবেন। এতকিছু ঘোষণা প্রদানের পর জমির তফসিল
সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ
লাগে ।যদি আপনার কাছে এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে জমি খারিজ করতে কি কাগজ
লাগে যারা জানেনা তাদের কাছে দয়াপূর্বক শেয়ার করুন আর নতুন নতুন আর্টিকেল
পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।